প্রার্থী খোদ মুখ্যমন্ত্রী। শাসক দলের সর্বোচ্চ নেত্রী। তাই নেহাত একটা উপনির্বাচন হলেও লক্ষ্য রেকর্ড মার্জিনে জয়। কোনও আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। উপনির্বাচনে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে এবার প্রচারে নামছেন প্রার্থী স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিকাল, বুধবার বিকেলে চেতলার অহীন্দ্র মঞ্চে প্রথম কর্মিসভা রয়েছে তাঁর। প্রথম পর্যায়ে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন দলনেত্রী। অহীন্দ্র মঞ্চ থেকে কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেবেন তিনি। কর্মিসভাতেও করোনা সংক্রান্ত বিধি পালনে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন:প্রার্থী হোন মান্নান বা সুজন অথবা দু’জনই, ভবানীপুরে জোরালো দাবি

মুখ্যমন্ত্রীকে রেকর্ড ভোটে জেতানোর চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের কাছে। তারকা প্রচারকদের তালিকাও প্রস্তুত। উপনির্বাচনে সাধারণত বুথমুখী হতে অনীহা থাকে শহরাঞ্চলের একটা বড় অংশের ভোটারের। তাই জয় নিশ্চিত হলেও, সব মানুষ যাতে ভোট দিতে যান, সেই চেষ্টাই থাকবে শাসক দলের। তৃণমূল সূত্রে খবর, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অর্ন্তগত কলকাতা পুরসভার ৮টি ওয়ার্ড ভাগ করে পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে শীর্ষ নেতাদের। সব ওয়ার্ড থেকে ব্যাপক লিড নিতে উদ্যোগী তৃণমূল।

ভবানীপুর বিধানসভার ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দেখবেন ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ড। কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দেখবেন ৭৪, ৭৭ ও ৮২ নম্বর ওয়ার্ড। বড় ব্যবধানে জিতেলও একুশের নির্বাচনে ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৭৫০ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এই ওয়ার্ডে কেন এমন ফল, তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জোর চর্চা হয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রী ভোটে ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লিড নিয়ে মরিয়া শাসক শিবির। ৭০ নম্বর ওয়ার্ড দেখবেন রাসবিহারী কেন্দ্রের বিধায়ক দেবাশিস কুমার। এই ওয়ার্ডেও গত বিধানসভায় দুই হাজারের বেশি ভোটে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল বিজেপির কাছে। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড দেখবেন কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়।


২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে ভবানীপুর কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছিলেন ২৫ হাজারের বেশি ভোটে। ২০২১-এর ভোটে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ২৮ হাজারের বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে হারিয়ে ছিলেন। এবারের উপনির্বাচনে সেই জয়ের ব্যবধান আরও বাড়ানোই লক্ষ্য তৃণমূলের। উপনির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশের পর থেকেই ‘‘ঘরের মেয়ে’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ভবানীপুরের অলিগলিতে জোরদার প্রচার শুরু হয়েছে। হোর্ডিং, ফেস্টুন, ব্যানারে ঢেকেছে ভবানীপুর। দেওয়াল লিখন শেষ পর্যায়ে।
শুধু শাসক দল বা তাদের শাখা সংগঠন নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে রেকর্ড মার্জিনে জেতাতে আসরে নেমেছে এলাকার বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠন ও ক্লাব।


জেতাতে ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। শুরু হয়েছে দেওয়াল লিখন। যেখানে প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাই রাজনৈতিক মহলের চোখ ভবানীপুর কেন্দ্রই। ইতিমধ্যে মমতার সমর্থনে কর্মিসভা করেছেন নেতারা। আর এবার মমতাই প্রচারে নামছেন।

