Sunday, August 24, 2025

সাতসকালেই চেতলায় ডোর টু ডোর প্রচারে ফিরহাদ হাকিম

Date:

Share post:

সাতসকালেই চেতলায় ডোর টু ডোর প্রচারে ফিরহাদ হাকিম। উৎসাহ-উদ্দীপনা বুঝিয়ে দিল ভবানীপুর ঘরের মেয়েকেই চায়। ভবানীপুরে মীরজাফরদের জায়গা নেই। বললেন ফিরহাদ হাকিম।দলনেত্রী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ২৪ ঘন্টাও হয়নি । তার আগেই তাঁর অন্যতম সেনাপতি রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম “ডোর টু ডোর” প্রচারে নেমে পড়লেন। শনিবার সাতসকালেই চেতলার ৮২ ও ৭৪ নং ওয়ার্ডে মানুষের দরজায় দরজায় ঘুরে ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে পার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ৩০শে সেপ্টেম্বর জোড়া ফুলে ছাপ দিতে বললেন।

চেতলা ফিরহাদ হাকিমের নিজের এলাকা। সেখানে তিনি সবার কাছে “ববি দা”। মানুষের সুখ দুঃখের সবসময়ের সাথী। আর এবার ঘরের মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ফিরহাদ হাকিম নিজে মানুষের দরজায় গিয়ে দেখলেন তাদের উৎসাহ ঊদ্দীপনা কোন পর্যায়ে রয়েছে। সাধারণ মানুষ কার্যত উৎসবের মেজাজে রয়েছেন। আবার তারা তাদের ঘরের মেয়েকেই ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন বলে। ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেই গলা মিলিয়ে বাড়ির মেয়ে বৌরা বলে উঠলেন, ৩০ তারিখ “খেলা হবে”।

ভবানীপুর ঘরের মেয়েকেই চায় এই স্লোগান আগেই হিট। এদিন ফিরহাদ হাকিম তার সঙ্গে যোগ করেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের ঘরের দুর্গা যিনি সারা বাংলা জুড়ে বিজেপি নামের অশুভ শক্তিকে বধ করেছেন। বাংলাকে সুরক্ষিত রেখেছেন। সেই দুর্গাকেই ভবানীপুরের মানুষ জিতিয়ে আনবেন”।

মানুষের দরজায় গিয়ে মা-বোনেদের জোড় হাত করে বলেছেন, আপনাদের ঘরের মেয়েকেই ভোটটা দেবেন।চকিতে মা-বোনেরা উত্তর দিয়েছেন, এই অঞ্চলের সব ভোটই ঘরের মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আামাদের দিদির। শুনে হাসি মুখে ফিরহাদ হাকিম পা বাড়িয়েছেন অন্য দরজায়। সব জায়গাতেই উত্তর এক, ” ঘরের মেয়ে ভবানীপুরে সব ভোট জোড়া ফুলে”।

এদিন প্রচারে লিফলেটও বিলি করা হয়। সেখানে সরকারের উন্নয়ের খতিয়ান সহ রাজ্য সরকারের লক্ষীর ভান্ডার, স্বাস্থসাথী সহ একাধিক জনমুখী প্রকল্পগুলির উল্লেখ রয়েছে। এখানে বিজেপির প্রার্থী এবং তারকা প্রচারক নিয়ে প্রশ্ন করলে ফিরহাদ হাকিমের সপাট জবাব, “ভবানীপুর মীরজাফরদের মাটি নয়। এই মাটিতে মীরজাফরদের ঠাঁই নেই। আর কে এখানে উল্টোদিকে থাকলো তাতে কিছু যায় আসে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১৩ টা জায়গায় জিতে আছেন। সব বিধায়কই তো তাঁর নামেই জিতেছে৷ বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই রাজ্য চালানোর ভার দিয়েছেন। ফলে বাংলা দিদির সঙ্গেই আছে। আর ভবানীপুরও ঘরের মেয়ের সঙ্গেই থাকবে”।

advt 19

 

 

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...