দেড় বছর পর স্কুল-কলেজ, উৎসবের আমেজে পড়ুয়ারা

খায়রুল আলম ঢাকাঃ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা কমতেই খুলে দেওয়া হল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি। তবে কোভিড বিধি মেনেই স্কুল-কলেজ খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেড় বছরেরও বেশি সময় পরে স্কুল খোলায় আনন্দিত শিক্ষক-পড়ুয়া উভয়েই। অনলাইনের পাঠ চুকিয়ে অফলাইন পদ্ধতি পুণরায় শুরু হওয়ায় এদিন সকাল থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছিল খুশির আমেজ। শিক্ষক ও পড়ুয়াদের মধ্যেও উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো।  যদিও করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়েও তাঁদের মধ্যে এক উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন: এবার কু-তেও অ্যাকাউন্ট খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক

একটানা ৫৭৪ দিন স্কুল বন্ধ থাকার পর রবিবার সকালে ঢাকার ধানমন্ডির কামরুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বহুদিন পরে স্কুলে ঢোকার আনন্দ ও উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়।  স্কুল ড্রেস পরে কাঁধে বইয়ের ব্যাগ নিয়ে আনন্দে ক্লাসে বসে পড়ুয়ারা। তবে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রত্যেকের মুখে মাস্ক পড়তে দেখা যায়। এমনকি দূরত্ব বজায় রেখেও স্কুলে প্রবেশ করে পড়ুয়ারা। পাশাপাশি শরীরের তাপমাত্রা মেপেও স্কুলে ঢোকার অনুমতি পায় পড়ুয়ারা।এদিন একাধিক স্কুলের প্রধান ফটকে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় বিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে কিনা, তা পরিদর্শন করতে শিক্ষামন্ত্রক এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রকের দুই মন্ত্রী ঢাকার দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন। জানা গেছে, প্রায় ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষাব্যবস্থায় বড় ধরণের সংকট দেখা দিয়েছে। বছরের শুরুতে এসএসসি ও এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আয়োজন করার কথা থাকলেও এখনও তা সম্ভব হয়নি।এছাড়াও অন্যান্য স্থানের পাবলিক পরীক্ষা আয়োজন করা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। নিয়মিত পাঠক্রম রীতিমত চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে রবিবার থেকে সীমিত পরিসরে শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস নেওয়া শুরু করা হয়েছে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে কোভিড বিধিনিষেধ মেনে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

advt 19

Previous articleরাতারাতি মন্দির ভেঙে পরিষ্কার জায়গা, অভিযোগের তির কর্নাটকের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেই
Next article‘আপনার ব্লকে আপনার কো-অর্ডিনেটর’: বিধাননগরে মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী