এবার কু-তেও অ্যাকাউন্ট খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক

ফেসবুক-ট্যুইটার তো ছিলই, এবার নতুন সমাজ মাধ্যম কু-তেও অ্যাকাউন্ট খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আগামী দিনে এখানেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে । উল্লেখ্য, এই অ্যাপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিজেপির বহু নেতাই এই অ্যাপ ব্যবহার করছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অবাধ পদচারণাই তৃণমূলকে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে কাঙ্খিত জয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছিল। যে নেতারা ট্যুইটার বা ফেসবুকে ততটা সক্রিয় ছিলেন না তাদেরকও অভিষেক রীতিমতো বাধ্য করেন ট্যুইটারে সক্রিয় হতে। দিনে পাঁচটি টুইট করতে দেখা যায় নেতামন্ত্রীদের। ফলো আসে হাতেনাতে। ফ্যানবেস তৈরি হয় বহু তৃণমূল নেতার।

মোদি তাঁর ‘মন কি বাত’ প্রোগ্রামে ‘কু’ অ্যাপ নিয়ে আলোচনাও করেছেন। সম্প্রতি, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা এবং বিহার সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী তেজপ্রতাপ যাদবও ‘কু’ অ্যাপে যোগ দিয়েছেন। গত কয়েক মাসে রাজনীতি, বিনোদন এবং খেলাধুলা ক্ষেত্রের অনেক সেলিব্রেটি এই অ্যাপে যোগদানের দিকে ঝুঁকেছেন। এরই মধ্যে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কু অ্যাপে যোগ  নিয়ে বেশ চর্চাও চলছে।

তবে শুধু অভিষেক নন, এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন অনেক মন্ত্রীই। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং রবিশঙ্কর প্রসাদ-সহ অনেক সরকারী বিভাগ ‘কু’ অ্যাপে তাদের অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছিল। প্রসঙ্গত, যে সময় এই কু অ্যাপটি বাজারে আসে, সেই সময় সরকার এবং টুইটারের মধ্যে বিরোধ চলছিল প্রবলবভাবে। কেবল বিজেপি নেতারা নন, রাজস্থানের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও মে মাসে এই অ্যাপ ব্যবহার শুরু করেছিলেন।

‘কু’ অ্যাপে শব্দ ব্যবহারের সর্বোচ্চ সীমা ৪০০। এই ‘কু’ অ্যাপটিকে টুইটারের বিকল্প হিসেবে দেখা হয়। এই অ্যাপটি ২০২০ সালের মার্চ মাসে শুরু হয়েছিল। সরকারের স্বনির্ভর অ্যাপ ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ জেতার পর, ‘কু’ অ্যাপ নিয়ে চারদিকে আলোচনা শুরু করে। ‘কু’ অ্যাপে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ব্যবহারকারীরা দেশ ও বিশ্ব সম্পর্কে তথ্য পেতে পারেন।

 

advt 19

 

Previous articleদুনিয়ার দুই সেরা নেত্রী: ইন্দিরাকে দেখিনি মমতাকে দেখছি, বললেন আবেগতাড়িত প্রৌঢ়া
Next articleআরএসএসের গোপন রিপোর্টেই গুজরাতে ভোটে হারার স্পষ্ট ইঙ্গিত, তাই রূপানি বিদায়