তামিলকে “ঈশ্বরের ভাষা” বলে অভিহিত করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। আদালত বলছে , অরুণাগিরিনাথররে মতো আঝওয়ার্স এবং নয়নমারের তামিল স্তোত্রও পাঠ করা উচিত।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এন কিরুবাকরণ এবং বিচারপতি বি পুগলেন্ধির বেঞ্চ আরও বলেছে, ” আমাদের দেশে এটা বিশ্বাস করা হয় যে শুধুমাত্র সংস্কৃতই ঈশ্বরের ভাষা।” বিচারপতিরা আরও বলেছেন, আমাদের দেশে এটা বিশ্বাস করা হয় যে সংস্কৃতই একমাত্র ঈশ্বরের ভাষা এবং অন্য কোনো ভাষা এর সমতুল্য নয়। সন্দেহ নেই, সংস্কৃত একটি প্রাচীন ভাষা। ভক্তদের মধ্যে বিশ্বাস এমনভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয় যে শুধুমাত্র সংস্কৃত বেদ পাঠ করা হলে দেবতারা ভক্তদের প্রার্থনা শুনবেন।”

হাইকোর্টে এক আবেদনে বলা হয়েছিল, রাজ্যের কারোর জেলায় একটি মন্দিরে সন্ত অমরাবতী আরত্রাঙ্গারাই কারুরারের রচিত স্তোত্র পাঠ করা হোক। ওই মামলার শুনানিতে মাদ্রাজ হাইকোর্ট বলে, “তামিল বিশ্বের প্রাচীনতম ভাষাগুলির অন্যতম। অনেকের বিশ্বাস ভগবান শিবের নৃত্যের সময় ওই ভাষা সৃষ্টি হয়েছিল। অনেকেই বিশ্বাস করেন ওই ভাষার সৃষ্টি কর্তা ভগবান মুরুগা।”

আরও পড়ুন:প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজ

বিচারপতিদের বক্তব্য,” মানুষ যে ভাষায় কথা বলে তাই ঈশ্বরের ভাষা।” তাঁরা বলেন, মানুষ ভাষা সৃষ্টি করতে পারে না। কোনো ভাষা শত শত বছর ধরে গড়ে ওঠে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে জন্ম হয় একটি ভাষার। কিন্তু কেউ নিজের ইচ্ছেমত নতুন ভাষা সৃষ্টি করতে পারে না।”

আবেদনকারী চেয়েছিলেন মন্দিরে কুদামুঝুক অনুষ্ঠানের সময় তামিল স্তোত্র পাঠ করা হোক। বিচারপতিরা জানান, শুধু একটি মন্দিরে নয় গোটা দেশেই মন্দিরে তামিল সন্তদের স্তোত্র পাঠ করা উচিত।


















