শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) নিশানা করে সিবিআইয়ের(Cbi) প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি। আইকোর (Icore) মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে দিন কয়েক আগে নোটিশ পাঠায় তদন্তকারী এজেন্সি। শিল্পমন্ত্রীর ব্যস্ততার কারণে পার্থ চট্টোপাধ্যায় তদন্তকারী অফিসারদের অনুরোধ করেছিলেন ক্যামাক স্ট্রিটের শিল্পভবনে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। মন্ত্রীর অনুরোধে সিবিআইয়ের চার অফিসার তাঁর দফতরে যান সোমবার দুপুরে। প্রায় দেড়ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, শিল্পমন্ত্রী তাঁদের নানা প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, রাজনৈতিক লড়াইয়ে হেরে গিয়ে এখন কেন্দ্র এখন এজেন্সি দিয়ে উত্যক্ত করছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।
আইকোর মামলায় ৬ সেপ্টেম্বর শিল্পমন্ত্রীকে নোটিশ পাঠায় সিবিআই। সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে ডাকা হয়। কিন্তু এদিন সকালেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী ইমেল মারফৎ জানান, তাঁর পক্ষে সিবিআই দফতরে যাওয়া সম্ভব নয়। সিবিআই তাঁর অফিসে এলে তিনি তার জন্য প্রস্তুত। সেইমতো শিল্পভবনে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন-প্ররোচনায় পা নয়: অভিষেকের নির্দেশ আগরতলায় মহামিছিলের দিন বদল তৃণমূলের
রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রতিহিংসামূলক রাজনীতিতে নেমেছে গেরুয়া শিবির। জাতীয় রাজনীতিতে যতই প্রভাব বিস্তার করছে তৃণমূল, ততই তাদের একের পর এক নেতৃত্বকে এজেন্সি দিয়ে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে বিজেপি। বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়েছে তৃণমূল। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতেও জোড়া ফুলের সংগঠন মজবুত হচ্ছে। দিল্লি গিয়ে অবিজেপি দলগুলিকে এক মঞ্চে নিয়ে আসার কাজ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। তারপর থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তৃণমূল নেতাদের উপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।