প্ররোচনায় পা নয়: অভিষেকের নির্দেশ আগরতলায় মহামিছিলের দিন বদল তৃণমূলের

জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও প্ররোচনায় পা নয়, সৌজন্যের রাস্তায় হাঁটল তৃণমূল কংগ্রেস। (Tmc)। বালখিল্য এবং অযৌক্তিক অজুহাতে আগরতলায় ১৫ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bandyopadhyay) নেতৃত্বে মহামিছিলের অনুমতি দেয়নি বিপ্লব দেব (Biplab Dev) সরকারের পুলিশ। বদলে দেখানো হয় হাস্যকর যুক্তি, যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেই সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এ নিয়ে প্রথমে ট্যুইটে (Twitte) তীব্র প্রতিবাদ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। পরে সাংবাদিক বৈঠক করেন সুস্মিতা দেব, কুণাল ঘোষ, সুবল ভৌমিকরা। তাঁদের স্পষ্ট কথা, ত্রিপুরায় তৃণমূলের উত্থানে বিপ্লব দেব যে ভয় পেয়েছেন তা প্রমাণিত সত্য। এতদিন এই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার পুলিশি সিদ্ধান্তে তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গেল। তবে, ত্রিপুরার মানুষ জানিয়ে দেন, তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছেন।

প্রথম সাংবাদিক বৈঠকের একঘণ্টার মধ্যেই ফের সাংবাদিক বৈঠক করেন সুস্মিতা-কুণাল-সুবলরা। তাঁরা জানিয়ে দেন, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সৌজন্যের রাস্তায় হাঁটবে তৃণমূল কংগ্রেস। ১৫ তারিখ মিছিলে জনসমর্থন থাকলেও, ওই দিন মিছিল না করে পরের দিন অর্থাৎ ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর দুটোই একই রুটে মিছিল করা হবে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক।

১৫ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরায় ঐতিহাসিক পদযাত্রা করার কথা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই মিছিলের অনুমতি দেয়নি ত্রিপুরা পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়, একই দিনে একই সময়ে একই রুটে না কি অন্য একটি দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে। আবার একই সঙ্গে জানানো হয়, অন্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে গোটা আগরতলা জুড়ে পদযাত্রা করার জন্য নাকি আগে থেকেই অনুমতি নেওয়া হয়েছে। পুলিশের এই যুক্তিকে হাস্যকর আখ্যা দেন কুণাল। বলেন, সারা শহর ‘বুক’ করা হয়েছে এমন কথা আগে কখনও শোনা যায়নি! হাসাচ্ছে ত্রিপুরা পুলিশ।

এর পাশাপাশি ওইদিন ত্রিপুরায় রেল ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বিজেপির এক শাখা সংগঠন। প্রশ্ন হচ্ছে, যেখানে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার, রাজ্য বিজেপি সরকার, সেখানে কীসের দাবিতে বিজেপির শাখা সংগঠন রেল ধর্মঘট ডাক দিতে পারে? এটা আসলে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পদযাত্রায় অংশ নিতে আটকানোর ফিকির, বলেন কুণাল।

আরও পড়ুন:‘মা’ কার? সিপিএমকে বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল নেতা

সুস্মিতার প্রশ্ন, কোন রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে ১৫ তারিখ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে? তারা কবে অনুমতি চেয়েছিল? পুলিশ প্রকাশ্যে তা জানাচ্ছে না কেন? কিসের এতো রাখঢাক?

ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট ২০২৩-এ। সেদিকেই পাখির চোখ রাজনৈতিক মহলের । সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েই ত্রিপুরায় গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) নেতৃত্বে এবং অভিষেকের সেনাপতিত্বে সেখানে সংগঠন মজবুতের কাজ শুরু করেছে তৃণমূল। ফলে, বিপ্লব দেবের রাজ্যে পা রাখার পর হামলার মুখে পড়তে হয়েছে অভিষেককে। তবে ভয় দেখিয়ে, আক্রমণ করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে যে তৃণমূল কংগ্রেসকে দমিয়ে রাখা যাবে না, তা পদযাত্রা করার সিদ্ধান্তে অনড় থেকেই সোমবার বুঝিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

ত্রিপুরায় তানাশাহি বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস এবার সম্মুখ সমরে।

advt 19

 

Previous articleকরোনার জের : পুজো আসছে, কিন্তু এখনও শূন্যতা মালদহের তাঁতিপাড়ায়
Next articleপ্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অস্কার ফার্নান্ডেজ, টুইটে শোকপ্রকাশ মমতার