সুস্মিতা দেবকে রাজ্যসভার প্রার্থী করল তৃণমূল, উত্তর-পূর্ব নিয়ে নেত্রীর লক্ষ্য স্পষ্ট: সুস্মিতা

মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া আসনে সুস্মিতা দেবকে (Sushmita Dev) মনোনয়ন দিল তৃণমূল (Tmc)। মঙ্গলবার, আানুষ্ঠানিক ভাবে দলের তরফে সন্তোষমোহন দেবের (SantoshMohan Dev) কন্যার নাম ঘোষণা করা হয়। ৪ অক্টোবর এই আসনে নির্বাচন। ১৫ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মনোনয়ন জমা দিতে হবে। ৪ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিধানসভায় ভোটগ্রহণ হবে। সেই দিনই বিকেল ৫টার সময় ভোট গণনা হবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।

 

এই মুহূর্তে তৃণমূলের সাংগঠনিক কাজে ত্রিপুরায় সুস্মিতা। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Bandyopadhyay) ধন্যবাদ জানান তিনি। বলেন, “তাঁদের কাছে আামি কৃতজ্ঞ। উত্তর-পূর্বের একজন মহিলাকে মনোনয়ন দেওয়া হল এটা সবথেকে বড় কথা। কর্ণেন্দু ভট্টাচার্যের পরে আবার অসমের একজন এই সুযোগ পেল। রাজনৈতিকভাবে আমার মনে হয়, এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তর-পূর্ব নিয়ে লক্ষ্যটা পরিষ্কার বোঝা যায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে নারীদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে তাঁদের সমাজে এগিয়ে দেওয়ায় ক্ষেত্রে তিনি কতটা গভীর ভাবে ভাবেন সেটাও লক্ষ্যনীয়”।

 

এবার বিধানসভা নির্বাচনে সবং থেকে জেতেন এবং মন্ত্রী হন তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়া (Manas Bhuiya)। তার আগে রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করেন মানস। ২০২৩-এর অগাস্ট পর্যন্ত মেয়াদ ছিল তাঁর। সুস্মিতা দেবের মেয়াদও ওই পর্যন্তই হবে।

 

তবে, এই আসনে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা কম। এই আসন তৃণমূলের কংগ্রেসরই ছিল। এই আসনে অন্য দলের প্রার্থী দেওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এর আগে সুস্মিতা দেব কংগ্রেসের টিকিটে অসমের শিলচর থেকে ২০১৪-য় লোকসভায় জিতে সাংসদ হয়েছিলেন। তার আগে তিনি বিধায়কও ছিলেন। কিছুদিন আগেই তৃণমূল যোগ দেন। সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, সুস্মিতা দেব একজন শীর্ষ স্তরের রাজনীতিবিদ। অসম থেকে এর আগে লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছেন। তিনি নিজেকে বারবার প্রমাণ করেছেন। এই সিদ্ধান্তে আমরা খুশি”।

advt 19

Previous articleসব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন লাসিথ মালিঙ্গা
Next articleরাজ্যের নতুন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়