এবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়-রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় তরজা। স্পিকারকে অন্ধকারে রেখে বহু কাজ করা হচ্ছে। ফলে বিধানসভার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুললেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, সর্বভারতীয় স্পিকার সম্মেলনে রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। তেমনই পাল্টা পত্রাঘাত করে সেই আক্রমণের জবাব দিলেন রাজ্যপাল। রাজভবনের সঙ্গে বিধানসভার সংঘাত পুরোনো ঘটনা। বুধবার বিধানসভা থেকে হাতে তিন পাতার অভিযোগপত্র নিয়ে ১২ মিনিট বক্তৃতা করেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্পিকারের অভিযোগ, ‘‘অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, কেউ কেউ বিধানসভার একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করছেন। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধানসভার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন রাজ্যপাল। বিধানসভাকে নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি।’’

আরও পড়ুন: লক্ষ্য অক্সিজেনের ঘাটতি মেটানো, নদিয়ায় অক্সিজেন প্ল্যান্ট উদ্বোধন মহুয়া মৈত্রর

এদিন বিধানসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে সিবিআই ও ইডি-র পদক্ষেপ প্রসঙ্গেও স্পিকারদের সম্মেলনে সরব হন বিমান। তার কথায়, ‘‘আমায় না জানিয়ে বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি লোকসভার কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে স্পিকারের অনুমতি নিচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ক্ষেত্রে ঠিক উল্টোটা ঘটছে। স্পিকারের অনুমতি নেওয়া হচ্ছে না।’’


স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পাল্টা চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। ধনকড়ের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে আসার পর বিধানসভার স্পিকারের তরফে তাঁর সঙ্গে সঠিক ব্যবহার করা হয়নি। বিধানসভায় দু’বার যে তাঁর বক্তৃতা ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছিল, তার কথাও চিঠিতে রয়েছে। বিধানসভা পরিদর্শনে গেলে কোনও সরকারি আধিকারিক রাজ্যপালকে স্বাগত জানাননি, সঙ্গে বেশিরভাগ দফতরই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এই চিঠিতে এমনটাই উল্লেখ রয়েছে।

As Hon’ble Speaker WBLA put in public domain his Sept 6 communication responding to my Aug 24 communication , even before the same could be received at my end, I find it expedient to put the record straight by way of response attached. pic.twitter.com/9JnBbRfPb5
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) September 15, 2021