Sunday, August 24, 2025

ত্রিপুরায় বিজেপিকে উৎখাতের ডাক, অভিষেকের মিছিলে বাধার প্রতিবাদে ধর্না তৃণমূলের

Date:

২৩- এর বিধানসভা নির্বাচনকে(assembly election) নজরে রেখে ত্রিপুরার(Tripura) মাটিতে ঘাঁটি শক্ত করছে ঘাসফুল শিবির। আর সেই লক্ষ্যেই ১৫ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরাতে পদযাত্রা করার কথা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee)। তবে সে অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। ১৬ তারিখ পদযাত্রা করতে চাইলে সে অনুমতিও দেওয়া হয়নি। এরই প্রতিবাদে বুধবার আগরতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না দিল ত্রিপুরার ঘাসফুল শিবির। এদিনের ধর্না মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের রাজ্য সাধারন সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক সহ অন্যান্য নেতা নেত্রীরা।

ত্রিপুরার মাটিতে তৃণমূলের ঘাটি শক্ত হতেই হামলা ও মামলার পন্থা নিয়েছে গেরুয়া শিবির। স্থানীয় নেতা নেত্রী তো বটেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রেহাই পাননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি ত্রিপুরায় ২টি সংবাদমাধ্যমের অফিসে হামলা চালায় বিজেপি। এরই প্রতিবাদে বিজেপি সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়ে পদযাত্রার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। এই পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে। বুধবার অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর সেই পদযাত্রা হওয়ার কথা থাকলেও তার অনুমতি দেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে। কারণ হিসেবে জানানো হয় এই দিন অন্য একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি রয়েছে। যদিও বাস্তবে তেমন কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি। শুধু তাই নয় ১৬ তারিখ পদযাত্রার অনুমতি চাওয়া হলেও তা বাতিল করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার আগরতলায় গান্ধী মূর্তি পাদদেশে ধর্নায় বসে তৃণমূল নেতা নেত্রীরা।

আরও পড়ুন:গুরুদ্বারে এলেই মন শান্ত হয়ে যায়, ফের শুভকামনা নিতে এলাম: মমতা

পাশাপাশি এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি সরকারকে তুলোধোনা করেন কুণাল ঘোষ। এদিন অভিষেকের পদযাত্রা আটকানোর জন্য বিজেপি সরকারের ‘কুযুক্তি’কে একহাত নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি ভয় পেয়ে অভিষেককে পদযাত্রার অনুমতি দিচ্ছে না। ১৫ সেপ্টেম্বর দেয়নি। ১৬ সেপ্টেম্বরও কুযুক্তি দেখিয়ে অনুমতি দেয়নি। আমরা ২২ সেপ্টেম্বর অনুমতির দাবি করেছি। এবারও অনুমতি না দিলে আমরা আদালতে যাব।

পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, “১৫ তারিখ ওদের যুক্তি ছিল অন্য একটি রাজনৈতিক দলকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ১৬ তারিখ নাকি রেল ধর্মঘট। তাহলে আপনারাই বুঝুন এ রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি, কেন্দ্রে ক্ষমতায় বিজেপি, রেল মন্ত্রকের বিজেপির। অথচ সেই রেলের বিরুদ্ধে ধর্মঘট দেখাচ্ছে এরা। তার মানে বুঝতে হবে বিজেপির বিজেপির উপর আস্থা নেই।” এরপরই রীতিমতো হুংকার দিয়ে তিনি বলেন, “যত বার বাধা দেবেন তত বেশি করে প্রতিষ্ঠিত হবে তৃণমূল। এবং ২৩ এর নির্বাচনে বিজেপিকে ত্রিপুরা রাজ্য থেকে উপড়ে ফেলা হবে।”

 

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version