ত্রিপুরা: ২২-এর মিছিলে অনুমতি ও লকআপ মৃত্যুর তদন্তের দাবিতে ADG-র সঙ্গে সাক্ষাৎ শান্তনুর

বিজেপি সরকারের আমলে ত্রিপুরার গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত। বিরোধীদের ওপর নৃশংস ভাবে চলছে হামলা ও মামলা। বাদ যাচ্ছে না সংবাদমাধ্যমও। পরিস্থিতি এমনই যে রাজ্য পুলিশ বিজেপি দলের পক্ষপাতিত্ব করে চলেছে। বিপ্লব দেবের সরকারের বিরুদ্ধে অপশাসনের অভিযোগ তুলে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পদযাত্রা করার কথা ছিল তৃণমূলের। ১৫ সেপ্টেম্বরও পুলিশের তরফে অনুমতি মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পদযাত্রা সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েছে তৃণমূল। প্রশাসন যাতে সে অনুমতি মঞ্জুর করে তার জন্য শনিবার আগরতলায় এডিজি সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি ত্রিপুরায় পুলিশের অত্যাচারে লকআপের মধ্যে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

শনিবার আগরতলায় এডিজির সঙ্গে সাক্ষাতের পূর্বে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ শান্তনু সেন জানান, “মূলত দু’টি দাবি নিয়ে আমরা আজ এডিজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছি। প্রথমত, তৃণমূলের পদযাত্রা। গত ১৫ সেপ্টেম্বরেই পদযাত্রা হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশের তরফে অনুমতি দেওয়া হয়নি অন্য একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির জন্য। যদিও বাস্তবে দেখা গিয়েছে তেমন কোনো কর্মসূচি ছিল না। ১৬ সেপ্টেম্বর অনুমতি দেওয়া হয়নি বিশ্বকর্মা পুজোর কারণ দেখিয়ে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ত্রিপুরাতে তৃণমূলের এই পদযাত্রার অনুমতি যাতে প্রশাসন দেয় তার জন্য আজ আইনি পদ্ধতি মেনে আবেদন জানাতে এসেছি আমরা। যদি প্রশাসনের তরফে অনুমতি না দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে হাজার হাজার মানুষ করোনা বিধি মেনে শান্তিপূর্ণভাবে এই আগরতলার মাটিতে প্রতিবাদে সামিল হবে। শুধু তাই নয়, তৃণমূল সাংসদ আরো জানান পুলিশের তরফে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না কারণ ত্রিপুরা পুলিশের ওপর ভয়ঙ্কর চাপ সৃষ্টি করেছে বিজেপি।

আরও পড়ুন:অভিষেকের হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে বাবুল সুপ্রিয়

এছাড়াও সম্প্রতি ত্রিপুরার সোনামূড়ার বলেরঢেপা গ্রামে পুলিশের লকআপে জামাল হোসেন নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়ে সরব হন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন অন্যায় ভাবে পুরনো এক মামলায় কোনরকম গ্রেফতারের নোটিশ ছাড়া ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে তাকে তার পরিবারের সকলকে নিশংসভাবে মারধর করে পুলিশ এরপর থানায় নিয়ে এসে ব্যাপক মারধরের জেরে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। আমরা চাই ওই যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় উপযুক্ত তদন্ত হোক। আদালতের বর্তমান কোন বিচারপতির নজরদারিতে এই তদন্ত হওয়ার দাবি জানাচ্ছি আমরা। পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে তৃণমূলের তরফে।

advt 19

 

Previous articleঅভিষেকের হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে বাবুল সুপ্রিয়
Next articleএবার কংগ্রেস ছাড়তে চলেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং!