অনুপ্রবেশকারী- পুলিশ সংঘর্ষ, বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ অসম সরকারের

বিশেষ প্রতিনিধি, গুয়াহাটি:

অসমের দরং জেলার ঢোলপুরের গরুখুঁটি এলাকায় অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে পুলিশি সংঘর্ষের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল অসম সরকার। বৃহস্পতিবার, ওই এলাকাতে অনুপ্রবেশকারীদের উচ্ছেদ করা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন এক কনস্টেবল সহ আট পুলিশকর্মী। তারপরেই সেখানে যান অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)।পুলিশের দাবি, ওই এলাকাতে বসবাস করছে অনুপ্রেবেশকারীরা। তাদের সেখানে থেকে উচ্ছেদ করার কাজ শুরু হলে বাধা দেয় ওই বেআইনি দখলদাররা।

এরপরই ঘটে বিপত্তি। উচ্ছেদকার্যে বাধা দিতে অতর্কিতে পুলিশের উপরে শুরু হয় পাথর বৃষ্টি। এদিকে গোটা ঘটনা নিয়েই ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক দোষারোপের পালা শুরু হয়েছে। অসমের কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরা গোটা বিষয়টির জন্য শাসকদলকে নিশানা করেছেন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তিনি। এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত করার পাশাপাশি ওই এলাকার পুলিশ সুপার এবং ডেপুটি কমিশনারকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করার দাবি করেন তিনি। অসমের কংগ্রেস সভাপতি শুক্রবার দরং এলাকায় যাবেন বলেও জানিয়েছেন। এই সঙ্গেই তাঁর দাবি, অসমে BJP সরকার বুলেটের সাহায্যে শাসন করতে চাইছে।

আরও পড়ুন – লুকিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হল না, পুলিশ গ্রেফতার করল গ্যাংস্টার সোনা পাপ্পুকে
ভূপেন বরা আরও দাবি করেন, করোনার সময়ে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার সেই নির্দেশ মানছে না। তিনি বলেন, ‘ঢোলপুর এলাকা থেকে যাদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করা হচ্ছে সেখানে তারা ১৯৭০ সাল থেকেই বাস করছেন। এখন গায়ের জোরে তাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমাদের দাবি, তাদের জোর করে উচ্ছেদ করার আগে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর উচিত তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।’
এদিকে অসম সরকার দাবি করেছে, যারা সেখানে বাস করছে তারা অনুপ্রবেশকারী। তাদের উচ্ছেদ করে সেই জায়গা চাষের কাজে ব্যবহার করা হবে।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ঢোলপুরের গরুখুঁটি এলাকায় অনুপ্রবেশ রুখতে অভিযান চালিয়েছে অসম পুলিশ। এর জেরে এলাকার প্রায় ৮০০ পরিবার ঘরছাড়া হয়েছে বলে খবর। এই এলাকাটি মূলত বাংলাদেশ সীমানার কাছে এবং মুসলিম অধ্যুষিত। সেই অভিযানের অংশ হিসেবেই বৃহস্পতিবার আরও একবার অভিযান চালায় পুলিশ।উল্লেখ্য, জুন মাসে প্রথম এরকম একটি অভিযান চলে। এরপর একটি তথ্য অনুসন্ধানকারী দল এলাকায় যায়। তাঁরা জানান, এলাকার ৪৯টি মুসলিম এবং একটি হিন্দু পরিবার ঘরছাড়া হয়েছে। খালি করা হয় এক বিঘা জমি। পুলিশের দাবি, এই এলাকায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী রয়েছে।

 

advt 19

 

Previous articleআদালতের দৃশ্যে মদ্যপান দেখানোর অভিযোগে ‘দ্য কপিল শর্মা শো’র বিরুদ্ধে এফ আই আর
Next articleমালদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের