নয়া টুইস্ট: বৈশাখীকে বেহালার বাড়ি বেচলেন শোভন, দখল ছাড়তে নারাজ রত্না

শোভন-বৈশাখী-রত্না ট্রায়াঙ্গেলে এবার নতুন টুইস্ট। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Shobhan Chatterjee) বেহালার পৈতৃক বাড়ি কিনেলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Boishakhi Bandopadhyay)। শোভন জানান, মহেশতলায় গুদাম ভাড়া বাবদ যে টাকা তার প্রাপ্য হয় সেটা তিনি গত কয়েক বছর ধরে পাচ্ছেন না। এদিকে আইনি লড়াইয়ের জন্য তাঁর অর্থের প্রয়োজন। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সেই অর্থ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু খালি হাতে টাকা নিতে নারাজ প্রাক্তন মেয়র নিজের পৈতৃক বাড়িটি বৈশাখীকে বিক্রি করেছেন। বেহালা পর্ণশ্রীর ১৩৯ বি মহারানি ইন্দিরা দেবী রোডের বাড়ির মালিক এখন বৈশাখী। তবে এই বাড়িতে এখন রয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায় (Ranta Chatterjee) ও তাঁদের দুই ছেলেমেয়ে। রত্না জানিয়ে দিয়েছেন, প্রাণ থাকতে ওই বাড়ি তিনি ছাড়বেন না আইনি লড়াই লড়বেন।

বৈশাখী জানিয়েছেন, বিভিন্ন মামলার খরচ চালাতে সমস্যা হচ্ছিল শোভনের। বান্ধবী হিসেবে তিনি সাহায্য করতে চান। কিন্তু শোভন তা নিতে অস্বীকার করায় বন্ধু হিসেবেই বেহালার বাড়িটি তিনি কিনেছেন।

গত প্রায় চারবছর বেহালার বাড়ি ছেড়ে গোলপার্কের এক বহুতলে থাকেন প্রাক্তন মেয়র। সেখানেই গত তিন বছর ধরে রয়েছেন বৈশাখীও। তাঁর দাবি, আইন সম্মত ভাবেই শোভনের পৈতৃক বাড়ি কিনেছেন। ওই বাড়ি খালি করতে রত্নাকে নোটিশও পাঠাবেন বলে জানান বৈশাখী। এর আগে জুন মাসেই তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বৈশাখীর নামে করে দিয়েছেন শোভন।

তবে, রত্না চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, আইনি নোটিশ পেলে আইনত তার মোকাবিলা করবেন। বর্তমানে ওই বাড়িতে রত্না, তাঁর ছেলে সপ্তর্ষি এবং মেয়ে সুহানি থাকেন। রত্না জানিয়েছেন, কোনও অবস্থাতেই তিনি বাড়ি ছাড়বেন না। একই মত প্রকাশ করেছেন ছেলে সপ্তর্ষিও। আর এদিকে বৈশাখী বলেছেন, শোভনের মেয়ে চাইলে মাকে ছেড়ে ওই বাড়িতেই থাকতে পারে। ছেলের অনুরোধও তিনি ভেবে দেখবেন। তবে তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রত্না ও সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে যাঁকে দিন গুজরান করতে হয়েছে তেমন একজন মানুষকে বিয়ে করেছিলেন বলে তিনি লজ্জিত। তবে, বাড়ি বিক্রিকে কেন্দ্র করে রত্না-শোভন-বৈশাখীর তরজা অনেকদূর গড়াবে বলেই মনে করছে সকলে।

আরও পড়ুন:স্পিকার সময় দেননি, আপাতত সাংসদ পদে ইস্তফা না দিয়েই কলকাতার পথে বাবুল

 

Previous articleস্পিকার সময় দেননি, আপাতত সাংসদ পদে ইস্তফা না দিয়েই কলকাতার পথে বাবুল
Next articleসকাল-বিকেল বাংলার ‘সর্বনাশ’ করে বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে টুইটের বন্যা বিজেপি নেতাদের