৪০০কোটির বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে বঞ্চনা বাংলাকে, কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি অরূপের

ভবানীপুরের উপনির্বাচনের প্রচার শেষ হওয়ার আগে ক্রীড়াক্ষেত্রে বাংলাকে বঞ্চনা করার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বাংলা থেকে অলিম্পিয়ান উঠে আসছেন না, পরিকাঠামো, অর্থ-সহ নানা প্রতিবন্ধকতার জন্য বাংলার ক্রীড়াবিদদের অন্য রাজ্যে পাড়ি দিতে হচ্ছে।

জলপাইগুড়ির বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প। মউ স্বাক্ষরের পর ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর রাজ্য সরকার বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গন তুলে দেয় সাইয়ের হাতে। সেখানেই আজ ঘন জঙ্গল, গরু-সহ গবাদি পশুর বিচরণক্ষেত্র। অরূপ বিশ্বাস বলেন, খেলাধুলোর আদর্শ আবহাওয়া উত্তরবঙ্গে। সেই কারণেই সেখানে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গন গড়েছেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চান বাংলার বুকে এই ক্রীড়া পরিকাঠামো ব্যবহার করতে আসুক দেশের নানা প্রান্তের ক্রীড়াবিদরা। উজ্জ্বল করুন দেশের নাম। কিন্তু বাংলার প্রতি যে বঞ্চনার মানসিকতা নিয়ে এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, তা অব্যাহত রয়েছে ক্রীড়াক্ষেত্রেও।

জলপাইগুড়ি শহরের যেখানে ২৭ একর জমিতে বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গন গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে এখন এই জমির দাম সাড়ে তিনশো কোটি টাকার বেশি। সেখানেই ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তোলে রাজ্য সরকার। এখানে তিরন্দাজি, অ্যাথলেটিক্স, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, ফুটবল, জিমন্যাসটিক্স, স্কোয়াশ, সাঁতার, টেবিল টেনিস ও ভলিবল প্রশিক্ষণের যাবতীয় পরিকাঠামো রয়েছে।

অরূপ বিশ্বাস বলেন, রাজ্য সরকার নিজেই এটি চালাতে পারত। কিন্তু যেহেতু ভারতে খেলাধুলোর বিষয়টি সাই দেখে, বিভিন্ন জায়গায় সেন্টার রয়েছে তাই আমরা চেয়েছিলাম সাই ভালো কোচ এনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিভা তুলে এনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। যদি সেটা হতো তাহলে তো অলিম্পিকে পদকের সংখ্যা আরও বাড়তেও পারত। কিন্তু বাংলাকে, উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পকে জঙ্গলে পরিণত করেছে কেন্দ্র।

৪০০ কোটির বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে ঝোপ-জঙ্গল

আরও পড়ুন- ‘বিরোধীদের গালে চড়’: ভারত বনধ সফল, দাবি রাকেশ টিকায়েতের