কানহাইয়ার কংগ্রেস যোগে যেটুকু উদ্দীপনা তৈরী হয়েছিল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে, দলীয় কোন্দলে তা ক্রমশ স্তিমিত হয়ে যাচ্ছে। অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে পাঞ্জাব গোয়ার মত রাজ্যগুলিতে। কংগ্রেস ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং(Amarinder Singh)। শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলায় কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলের(Kapil sibal) বাড়ির সামনে। দলের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন আর এক প্রবীণ কংগ্রেস(Congress) নেতা পি চিদম্বরম(P Chidambaram)। টুইটে তিনি লিখলেন, দলের করুণ অবস্থা দেখে তিনি মর্মাহত।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক টুইটে দলের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। টুইটে তিনি লেখেন, “যখন দলের মধ্যে অর্থপূর্ণ আলোচনা শুরু করতে পারি না তখন রীতিমত অসহায় লাগে। যখন সহকর্মী তথা সাংসদের বাড়ির সামনে ছবিতে দেখি কংগ্রেস কর্মীরা স্লোগান তুলছেন তখন মর্মাহত হই। চূড়ান্ত অসহায় লাগে।”

I feel helpless when we cannot start meaningful conversations within party forums.
I also feel hurt and helpless when I see pictures of Congress workers raising slogans outside the residence of a colleague and MP.
The safe harbour to which one can withdraw seems to be silence.
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) September 30, 2021
আরও পড়ুন-বরফ গলছে পাঞ্জাবে: চান্নি সাক্ষাতে মনবদল সিধুর, থাকছেন সভাপতি পদেই

প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি সরব হয়েছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “দলে এখনো পর্যন্ত কোন সভাপতি নেই। তাহলে কংগ্রেসের দলীয় সিদ্ধান্ত কারা নিচ্ছেন?” প্রবীণ নেতার এহেন টুইটের পর স্বাভাবিকভাবেই দলের অন্দরে শোরগোল পড়ে যায়। এরপরই বুধবার রাতে কপিল সিব্বলের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। পরিস্থিতি এখানেই থামেনি, বুধবারই জি-২৩এর তরফেও সোনিয়া গান্ধীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে দ্রুত কার্যকরী কমিটির বৈঠক ডাকার আবেদন জানান আর এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ। দলের এমন চরম পরিস্থিতির মাঝে কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজাদের মত নেতৃত্বের পাশে দাঁড়িয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে নিজের অসহায়তার কথা তুলে ধরলেন পি চিদম্বরম।
