এবার পুজোয় নয়া চমক। বাগুইআটিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদলে দেবী দুর্গার মূর্তি। পুজো কমিটির নাম নজরুল পার্ক উন্নয়ন সমিতি। সেখানকার উদ্যোক্তারাই মুখ্যমন্ত্রীর আদলে দেবীমূর্তি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মূর্তিটি তৈরি হয়েছে ফাইবার গ্লাস দিয়ে। এবার সেই মূর্তির “চক্ষুদান” করলেন তৃণমূল নেতা তথা কামারহাটির বিধায়ক “এভার গ্রিন” মদন মিত্র! আজ, শুক্রবার “বাগুইআটি নজরুল পার্ক উন্নয়ন সমিতির পূজো” উদ্যানের সামনে সেই চক্ষুদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হাজির ছিলেন কুমোরটুলির বিখ্যাত প্রতিমা শিল্পী মিন্টু পাল ও দমদমের তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়।

পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, গত ১০ বছরে বাংলা তাঁর উন্নয়নের একাধিক প্রকল্পকে ঘিরেই সেজে উঠবে পুজো মণ্ডপ। থিমের নাম ‘তুমিই ভরসা’। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেই রাজ্যের মহিলাদের জন্য ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের সূচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষীর ভাণ্ডারের আদলেই গড়ে উঠবে পুজো মণ্ডপ। এছাড়াও মণ্ডপের আঙ্গিকে থাকবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা।

পুজোর উদ্যোক্তারা অবশ্য জানিয়েছেন,” সরকার আমাদের জন্য একাধিক প্রকল্পের সুবিধা দুয়ারে হাজির করেছেন । তৃতীয়বার সরকার গঠন করে দিদি প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। দিদির অনুপ্রেরণায় তাই সাধারন নাগরিক হিসাবে মাতৃরূপী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তুলে ধরলাম। তার মমতাময়ী মা রূপটাই তুলে ধরা হচ্ছে মূর্তিতে। স্বাস্থ্যসাথী থেকে খাদ্য সাথী , কন্যাশ্রী থেকে লক্ষীর ভাণ্ডার একাধিক প্রকল্প রাখা হচ্ছে থিমের আঙিনায়। তবে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক প্রকল্পের সুবিধা দিয়েছেন যা গুনে তুলে ধরা সম্ভব না। কারণ বাজেট কম। জায়গা সীমাবদ্ধ। এ বছর প্রথম থিমের পুজো। মুখ্যমন্ত্রীর আসল উচ্চতা ও ওজন অনুযায়ী তৈরি হচ্ছে দুর্গা প্রতিমা।”

মুখ্যমন্ত্রীর আদলে মূর্তি গড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কুমোরটুলির প্রতিমাশিল্পী মিন্টু পালকে। তাঁর কথায়, ‘‘এমন মূর্তি তৈরির কথা উদ্যোক্তারা আমাকে জানিয়েছিলেন। আমি আমার মতো করে মূর্তি গড়ার কাজ করেছি। তবে এই দেবীমূর্তিটি শাস্ত্রবিধি মেনে পুজো করা হবে না। পুজোর জন্য অন্য একটি প্রথা-মাফিক মূর্তি গড়া হচ্ছে।” মিন্টু বলেন, ‘‘মূর্তি গড়ার ক্ষেত্রে তাঁর সংগ্রামী জীবন ও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে করা বিভিন্ন উন্নয়নের কাজকেই মাথায় রাখা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন:‘ম্যান মেড’ বন্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার

মূর্তির পরনে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই সাদা শাড়ি। পায়ে হাওয়াই চপ্পল। থাকবে দেবী দুর্গার মতোই মূর্তির দশটি হাত থাকবে। সেই দশ হাতে অস্ত্রের বদলে থাকবে মমতার সরকারের ১০টি জনপ্রিয় প্রকল্পের নাম। প্রতিমার চালচিত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীরই পরিকল্পনায় তৈরি ‘বিশ্ব বাংলা’ লোগো।

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদলে দেবী দুর্গার মূর্তি তৈরির মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের জন্য যে বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ করেছেন, সে কথা মাথায় রেখেই তাঁদের এই উদ্যোগ।
