নিহতদের পরিবারকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা, দিলেন সুবিচারের আশ্বাস

দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর শেষমেশ বুধবার রাতে লখিমপুরে মৃত কৃষক পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সেখানে পৌঁছতেই তাঁদের সুবিচারের আশ্বাস দেন তাঁরা। এমনকী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর গ্রেফতারি ও তার ইস্তফার দাবি তোলেন দুই ভাইবোন। রাহুল বলেন,  সুবিচার হবেই। আর সেটা তাঁরা নিশ্চিত করবেন।

বুধবার রাত ন‌’টা নাগাদ বিরাট কনভয় নিয়ে লখিমপুর পৌঁছন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা।এদিন তাঁরা ছাড়াও কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলে ছিলেন ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চান্নি, কে সি বেণুগোপাল, রণদীপ সুরজেওয়ালা এবং দিপেন্দর হুডা৷ প্রায় ৩০ ঘণ্টা আটকে রাখার পর বুধবার ছাড়া হয় প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও।

আরও পড়ুন:উত্তরপ্রদেশ কি পাকিস্তানে? বিরোধীদের লাখিমপুর যাওয়া আটকানোয় বিজেপিকে নিশানা শিবসেনার

লখিমপুর পৌঁছেই সময় নষ্ট না করে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা দুজনেই। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন একসঙ্গে। যেভাবে রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন, তা ইতিমধ্যেই বহু মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাহুল-প্রিয়াঙ্কাদের আলিঙ্গনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল।এরপর সেখান থেকে রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নিগাসন তহসিলের উদ্দেশে রওনা হন। এছাড়াও লখিমপুর-কাণ্ডে নিহত সাংবাদিক রমন কাশ্যপের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা।  রমনের বাড়ি থেকে ধৌরাহা তেহসিলে নাচাতার সিংয়ের বাড়িতে যান রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। এদিকে, কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট এবং আচার্য প্রমোদ যখন লখিমপুর খিরিতে যাচ্ছিলেন তখন মুরাদাবাদে ইউপি পুলিশ তাঁদের আটক করে।

অন্যদিকে, ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও লখিমপুর-কাণ্ডের মূল অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করেনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এরপর একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হয় শীর্ষ আদালতে। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা বলেন, ‘‘গত মঙ্গলবার দু’জন আইনজীবী এই বিষয়ে আদালতকে চিঠি দিয়েছিলেন। আমি সেই চিঠি রেজিস্ট্রিতে পাঠাই। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝির কারণে মামলাটি জনস্বার্থ হিসেবে নথিভুক্ত না হয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।’’

advt 19