কলকাতার দুর্গাপুজো মানেই তালিকায় সবার উপরে নাম থাকবে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের। কী প্যান্ডেল আর কী প্রতিমার আভূষণ, সবেতেই নজরকাড়া লেকটাউনের ভিআইপি রোডের পাশে এই হেভিওয়েট পুজো। প্রতিবারই কিছু না কিছু চমক থাকে পুজোয়। এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না। দুর্গাপুজোয় করোনার কাঁটা থাকলেও পুজো করতে বদ্ধপরিকর শহরের উদ্যোক্তারা। সেই পথের শরিক শ্রীভূমিও।
পুজোয় ফের চমক শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের। উমার গায়ে ৪৫ কেজি সোনার গয়না। যার বর্তমান বাজারদর প্রায় ২০ কোটি টাকা।
শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের এবারের থিম বিশ্বের উচ্চতম অট্টালিকা, বুর্জ খলিফা।সুউচ্চ ইমারতের সঙ্গে অত্যাধুনিক আলোর কারসাজি এবং দুর্গার গহনার সাজ, এবারও পুজোপ্রেমীদের গন্তব্য হবে শ্রীভূমি স্পোর্টিং।মূল মণ্ডপ তৈরির জন্য ৬০ ফুটের লোহার একটি স্থায়ী কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। তার উপরে বাঁশ, কাঁচ আর ফাইবার দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে কলকাতার ‘বুর্জ খলিফা’। মণ্ডপশিল্পী রোমিও হাজরা। কলকাতায় বুর্জ খলিফার রেপ্লিকা গড়ে তুলতে শিল্পীরা গিয়েছিলেন দুবাই। দেখে-বুঝে এসেছিলেন বুর্জ খলিফা।
দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, অষ্টমীর দিন ১০ হাজার ভোগ বিতরণ করা হবে। ৫০টি দেশে ইউটিউবের মাধ্যমে শ্রীভূমির পুজো দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এবার পুজো করার কথা বলছেন উদ্যোক্তারা। সরকারি কোভিড প্রোটোকল মেনেই হবে পুজো, জানিয়েছেন সুজিত বোস। এবছর মণ্ডপসজ্জার পাশাপাশি আলোকসজ্জাতেও কোনও কার্পণ্য করা হচ্ছে না। মন্ত্রী জানিয়েই দিয়েছেন, প্রতি বছর শ্রীভূমির পুজোর সঙ্গে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান জড়িয়ে। তাঁরা শ্রীভূমির আপনজন। তাঁদের কোনও সমস্যা হোক চায় না ক্লাব। তাই যতই করোনা হোক, শ্রীভূমির ‘শ্রী’ নাম কমিয়েই পুজো করবেন উদ্যোক্তারা।
