পুজোয় “মমতাময়ী” ক্যান্টিনে নিখরচায় অসহায়দের জন্য পেটপুরে মাংস-ভাতের আয়োজন তৃণমূল নেতার

এগোচ্ছে রাজ্য। বাংলায় মা-মাটি-মানুষের সরকার তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর আরও জমমুখী প্রকল্পের বাস্তবায়ন করেছেন “কল্পতরু” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষ সরাসরি রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হচ্ছেন। বিশেষ করে টানা দু’বছরের বেশি সময় ধরে মহামির সঙ্কটের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প যে কতটা মানবিক তা হাতেনাতে প্রমাণ পেয়েছে সাধারণ ও গরিব মানুষ।

এরই মধ্যে চলে এসেছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। এখনও বহু মানুষ, বহু পরিবার রয়েছে, যাঁরা ভাল-মন্দ তো দূরের কথা, পেটভরে দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পর্যন্ত পান না। উৎসবের দিনগুলিতে যখন সবাই মেতে উঠেছেন, তখন নিজেদের অন্ন সংস্থান করতেই ব্যস্ত এই মানুষগুলি।

এবার পুজোয় এই সকল অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল নেতা তথা কলকাতা পুরসভার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর সুশান্ত ঘোষ। গত বছরের মতো এ বছরও পুজো ও উৎসবের মরশুমে “মমতাময়ী ক্যান্টিন” চালু করেছেন সুশান্ত ঘোষ।

কী এই মমতাময়ী ক্যান্টিন?

সুশান্ত ঘোষ বলছেন, ”এই শহর ও রাজ্যে বহু দরিদ্র পরিবার রয়েছে যাঁরা পুজোর সময় নতুন জামা-কাপড় তো দূরের কথা, পেটপুরে দু-বেল দু-মুঠো খেতেও পান না, সারাবছর তাঁরা আধপেটা খেয়ে চালান। পুজোর কটা দিন ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত তাঁর ওয়ার্ডে ৫০০ জনকে ভাত, মাংস, মাছ, ডাল, তরকারি খাওয়াব। তবে অষ্টমীতে সকলকে নিরামিষ তরকারি ভাত খাওয়াবো।”

১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কমিউনিটি হলের পেছনে বেশ বড় একটা হেঁসেল তৈরি করেছেন সুশান্তবাবু। যেখানে মুরগীর মাংস, ডাল, তরকারী ভাত রান্না হচ্ছে। প্রত্যেকটি খাবারের গুণ মান বজায় রাখা হচ্ছে। মানুষ লাইন দিয়ে সেই খাবার সংগ্রহ করছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এমন মহান উদ্যোগ বলেই জানিয়েছেন সুশান্ত ঘোষ।

আরও পড়ুন- কলকাতার বুর্জ খালিফার আলো চোখ ধাঁধাচ্ছে পাইলটদের, দায়ের হল অভিযোগ

advt 19

 

 

Previous articleমহাসমারোহে চেন্নাইয়ে মহাসপ্তমীর সকালে নবপত্রিকা স্নান
Next articleবাবা হতে চলেছেন মোহনবাগান স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণা,সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন সেকথা