প্রকৃতি আরাধনার দিয়েই সূচনা মহাসপ্তমীর, কী এই নবপত্রিকা?

বোধনে মধ্য দিয়ে সূচনা হয়েছে দুর্গাপুজোর। আজ মহাসপ্তমী। নবপত্রিকা স্নান। সাধারণের ভাষায় কলাবৌ স্নান। এদিন ভোর থেকেই বিভিন্ন নদীর ঘাটে ঘাটে চলছে নবপত্রিকা স্নানের পর্ব। এরপর দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা। শাস্ত্র মতে, এদিনই নাকি সপরিবারে পিতৃগৃহে প্রবেশ করেন উমা। তাই শুদ্ধ করে উমাকে ঘরে তোলার পালা চলে সপ্তমী তিথিতে৷

বেলুড়মঠে মায়ের ঘাটে নবপত্রিকা স্নানের করানোর পরে তা স্থাপন করা হয় মূল মন্দিরে প্রতিমার পাশে। গঙ্গা-সহ উত্তর থেকে দক্ষিণ বিভিন্ন নদীর ঘাটে সকাল থেকে চলছে কলা বৌ স্নান।

কী এই নবপত্রিকা?

নবপত্রিকা শব্দটির আক্ষরিক অর্থ ন’টি গাছের পাতা হলেও আসলে নবপত্রিকা ন’টি উদ্ভিদ। এগুলি হল, কলা, কচু, হলুদ, জয়ন্তী, বেল, ডালিম, অশোক, মান ও ধান।  এ যেন কৃষিপ্রধান বাংলার এক প্রতীক।

৯ দেবীজ্ঞানে ৯টি ওষধি বৃক্ষকে স্নান করানো হয়। নবপত্রিকার পরই দেবীর মহাস্নান। তারপর ঘটে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করে শুরু মহাপুজোর।

পাতা-সহ একটি কলা গাছের সঙ্গে অপর আটটি মূল ও পাতা সহ উদ্ভিদগুলি বাঁধা হয়। সঙ্গে এক জোড়া বেল দেওয়া হয়। সাদা অপরাজিতা লতা দিয়ে সবগুলিকে বাঁধা হয়। এই নবপত্রিকাকেই লালপাড় সাদা শাড়ি জড়িয়ে ঘোমটা দিয়ে বধূর রূপ দেওয়া হয়। তাই এর লোকায়ত নাম কলাবৌ। কলাবাউকে সিঁদুর দিয়ে দেবীপ্রতিমার ডান দিকে দাঁড় করিয়ে পুজো করা হয়।

আরও পড়ুন:অষ্টমী-নবমীতে বৃষ্টির পূর্বাভাস, একাদশীতে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা

নবপত্রিকা স্নানের পরই দেবীর মহাস্নান। তারপর ঘটে দেবীর প্রাণপ্রতিষ্ঠা করে মহাপুজো।  মহাসপ্তমীতে প্রকৃতি আরাধনার মধ্য দিয়েই সূচনা হয় চিন্ময়ীর আরাধনা।

advt 19

 

 

Previous articleবাংলা থেকে প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায়
Next articleপ্রয়াত ত্রিপুরার বামফ্রন্টের আহ্বায়ক বিজন ধর, আজ শেষকৃত্য