মাস্কহীন প্যান্ডেল হপিং তৃতীয় ঢেউয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে না তো! শিশুদের নিয়ে আশঙ্কায় বিশেষজ্ঞরা

পুজো দেখার অতি উৎসাহ আর বেপরোয়া মনোভাব ফের করোনা (Corona) সংক্রমণ বৃদ্ধিকে ডেকে আনছে না তো? প্রতিমুহূর্তে এই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে এখন নয়, এই উদাসীনতার প্রভাব বোঝা যাবে 14 দিন পর থেকে। কিন্তু তখন হয়ত অনেক দেরি হয়ে  যাবে। বোধনের আগে থেকেই শুরু হয়েছে মণ্ডপ (Pandal) পরিদর্শন। অধিকাংশ দর্শনার্থীর মুখে মাস্কের (Mask) বালাই নেই। বিশেষ করে ছবি তোলার অছিলায় বেশিরভাগ সময়ই মাস্কে খুলে ফেলছেন তাঁরা। এমনকী কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা সর্তক করলেও, উল্টে তাঁদের ভুল পরিসংখ্যান বোঝানোর চেষ্টা করছেন ‘অতিজ্ঞানী’ দর্শনার্থীরা।
তবে শুধু নিজেদের নয়, একই সঙ্গে অভিবাবকরা বিপদে ফেলছেন শিশুদের। কারণ প্রাপ্তবয়স্কদের অনেকের টিকাকরণ (Vaccination) হয়ে গেলেও, শিশুদের টিকাকরণ হয়নি। তার উপর ঋতুবদলের সময় সন্ধের পর থেকে ঠান্ডা পড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি খুবই ক্ষতিকারক। ওই সময় ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত হয়। একই সঙ্গে শিশুরা বেশিক্ষণ মাস্ক পরে থাকতেও পারে না। সুতরাং ভিড়ে গেলে তাদের সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকগুণ বেড়ে যাচ্ছে।
পুজো শুরুর আগে থেকেই সরকার এবং প্রশাসনের তরফ থেকে বারবার মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এবং দূরত্ব বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু উৎসবের আতিশয্যে তা মানছেন না অধিকাংশ হুজুগে জনতা। অভিযোগ, অনেক পুজো কমিটির তরফ থেকেও গাছাড়া মনোভাব রয়েছে। ষষ্ঠীর সন্ধে থেকে যত সংখ্যক লোক রাস্তায়-মণ্ডপে ভিড় জমিয়েছেন, তা দেখে শিউরে উঠছেন বিশেষজ্ঞরা। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, চেতলা-গড়িয়াহাট-রাসবিহারী অ্যাভিনিউ-হাতিবাগান-সহ কলকাতার বেশ কিছু এলাকায় একের পর এক নামী পুজো হচ্ছে। ভিড় ওই এলাকাগুলিতেই ঘুরপাক খাচ্ছে। এক ট্রাফিক পুলিসকর্মীর মন্তব্য, “এখন যত গাড়ি রাস্তায় রয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে অত অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যাবে তো!” করোনাকালে পুলিশকর্মীরা নিরলস পরিশ্রম করেছেন। অতিমারির ভয়াবহতা তাঁদের জানা। তবে সাধারণ মানুষ যদি সচেতন না হন তাহলে আগামী দিনে বড় বিপদ আসার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

advt 19