ধর্ম যার যার, উৎসব সবার! কুমিল্লার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিয়ে রাজধর্ম পালন হাসিনার

দুর্গোৎসবকে ঘিরে বাংলাদেশে অপ্রীতিকর ঘটনা যে ঘটতে পারে, সে বিষয়ে শেখ হাসিনা প্রশাসনের কাছে আগেই ছিল গোয়েন্দা রিপোর্ট। সেইমতো পুজোর দিনগুলিতে স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলিতে কড়া নজরদারি ছিল বাংলাদেশ প্রশাসনের। কিন্তু তাতেও বেশ কিছু জায়গায় আটকানো যায়নি মৌলবাদী কার্যকলাপ। আসলে দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশি বন্ধু দেশ ভারত ও বিশ্বের দরবারে ধর্মীয় সম্প্রীতিকে ধুলোয় মিশিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে নষ্ট করাই ছিল মৌলবাদীদের উদ্দেশ্য।

 

যদিও সেই লক্ষ্যে পুরোপুরি সফল নয় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ আসার পরই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। রাজধর্ম পালন করে দোষীদের রেয়াত না করার বার্তা দেন তিনি। বাংলাদেশ প্রশাসন বড় কোনও ধর্মীয় সংঘাত হওয়ার আগেই হস্তক্ষেপ করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সমস্ত চক্রান্ত বানচাল করে কুমিল্লা কাণ্ডে দোষীদের যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ”এমন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে, ভবিষ্যতে এমন কাজ করতে আর কেউ সাহস না পায়।” প্রধানমন্ত্রীর এমন বার্তা পাওয়ার পরই পুলিশ ২০ জনকে আটক করেছে। কুমিল্লায় সংঘর্ষে নিহতদের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

 

রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মহানগর সর্বজনীন পুজো কমিটি আয়োজিত দুর্গাপুজোর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দোষীদের কঠোর শাস্তির দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শেখ হাসিনার কথায়, ”বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ সমাজের কথা বলে। ধর্ম যে যার নিজের নিজের, উৎসব সকলের। কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমরা কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেখানে যেখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে সেখানেই তাদেরকে খুঁজে বের করা হবে। এখন প্রযুক্তির যুগ। অপরাধীদের খুঁজে বের করতে বেশি সময় লাগবে না। আমরা অতীতেও করেছি এবং আমরা সেটা করতেও পারব। যথাযথ শাস্তি তাদের দিতে হবে। এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে, ভবিষ্যতে এমন করতে কেউ সাহস না পায়।” হাসিনা আরও বলেন, ”আপনার সবাই ভাল থাকুন, সেটা আমরা চাই। আওয়ামি লিগ গণমানুষের দল। আওয়ামি লিগের জন্ম হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য।”

 

হিন্দুদের সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বাংলাদেশের শেখ হাসিনার বার্তা, “আমি আপনাদের আবারও অনুরোধ করব, আপনার কখনওই নিজেদেরকে সংখ্যালঘু ভাববেন না। আমরা আপনাদের সংখ্যালঘু নয়, আপনজন বলেই মানি। আপনারাও এই দেশের নাগরিক। এখানে আপনাদের স্বাধীনভাবে বাস করার, উৎসব পালন করার সমঅধিকার আছে। আপনারা সমঅধিকার ভোগ করবেন। সমঅধিকার নিয়ে আপনাদের ধর্ম পালন করবেন, উৎসব পালন করবেন। সেটাই আমরা চাই। আপনাদের সুরক্ষা দেবে বাংলাদেশ সরকার।

advt 19

 

 

Previous articleকাশ্মীরে গুলির লড়াই, জখম এক আধিকারিক-সহ দুই জওয়ান
Next articleবিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর, রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছাবার্তা অভিষেকেরও