সিঁদুর খেলা থেকে শোভাযাত্রায় নাচ , দুর্গা ভাসানে মাতোয়ারা ভক্তদল করোনা বিধি উপেক্ষা করেই

দুর্গাপুজোর ভাসানে ভিড় জমানোর ব্যাপারে কড়া নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু সেই বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না মাত্রাতিরিক্ত জমায়েত হয়েছে দুর্গা বিসর্জনে। পুজোর ক”দিন ঠাকুর দেখার ভিড় তো ছিলই । দশমীর দিনে দেবী বরণের সময় বহু জায়গাতেই করোনা বিধি উপেক্ষিত হয়েছে । শুধু পুরুষরা নন মহিলারাও  সিঁদুর খেলার সময় বিধিনিষেধের তোয়াক্কা করেননি । বাদ ছিল না শিশুরাও । মায়ের সঙ্গে শিশুদের ভিড়ও ছিল নজরে পড়ার মতন। আর তাতেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চিকিৎসকদের কপালে।

এই ছবি শুধু কলকাতা বা সংলগ্ন ঘাট গুলিতেই নয় উত্তর থেকে দক্ষিণ বঙ্গ সর্বত্র এক অবস্থা। করোনা আতঙ্ক উপেক্ষা করে যেভাবে মানুষজন বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ভিড় করেছেন তা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। চিকিৎসক মহলের একাংশের অভিযোগ ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গিয়েছে এই অজুহাতে বহু মানুষই মাস্ক ব্যবহার করতে চাইছেন না। ফলে ভিড়ের মধ্যে বিনা মাস্কে সকলে একজোট হয়ে যাচ্ছেন । আর তাতেই বিপদ বাড়ছে । কারণ ভ্যাকসিন নেওয়ার আর কখনোই করোনা হবে না, তা কেউ কথাও বলেনি। ভ্যাকসিন দেওয়া থাকলে প্রাথমিক প্রতিরোধ দৃঢ় হয়। আর এর ফলে গোষ্ঠী সংক্রমণ দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ার ভয় থাকে।

উত্তরবঙ্গে আলিপুরদুয়ারে গ্রামের দিকে দশমীর রাতে বিসর্জনের সময় ব্যাপক ভিড় ছিল । জলপাইগুড়ির রাজবাড়িতেও জমায়েত হয়েছে। প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রাও হয়েছে। প্রায় কারও মুখেই মাস্ক ছিল না। দক্ষিণ দিনাজপুরে ভিড় নিয়ন্ত্রণের অভাব থেকে শুরু করে ডিজে বাজানোর মতো নানা অভিযোগ উঠেছে। মালদহে পুরসভা থেকে ভিড় এড়ানোর ব্যবস্থা করলেও বিসর্জন দেখানোর ব্যবস্থা হলেও, ভিড় হয়েছিল মিশন ঘাটে।

পুজোর ক’দিনে কোভিড-বিধি চূড়ান্তভাবে উপেক্ষিত হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপের অনেক পুজো মণ্ডপে। অষ্টমী-নবমীতে কাতারে কাতারে মানুষের ঢল নামে। ওই দু’দিন কার্যত কোভিড-বিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ। বিসর্জনের সময়ও পূর্ব মেদিনীপুরের অনেক জায়গায় বিধি ভাঙার ছবি মিলেছে। হুগলির বহু পুজো কমিটি খোলামেলা মণ্ডপ করায় বাইরে থেকেই প্রতিমা দেখা গেলেও ঘেরাটোপের বাইরে, রাস্তার ভিড় আটকানো যায়নি। শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়ার কয়েকটি মণ্ডপের সামনে লাইন পড়েছিল। তবে তা নিয়ে কারোরই‘ কোনও মাথাব্যথা’ ছিল না বলেই অভিযোগ উঠেছে।

ষষ্ঠীর বোধন থেকে সিঁদুর খেলা থেকে বিসর্জনের ঘাটে জমায়েত—কোভিড-বিধি উড়িয়েই পুজোর শেষ পর্ব মিটেছে।

advt 19

 

 

Previous article২২শে রাহুলই সভাপতি! তার আগে ‘কার্যনির্বাহী’ হয়ে দল সামলাতেও সম্ভবত তৈরি
Next articleবিরাটদের প্রতিভা আছে, কিন্তু আরও পরিণত হতে হবে, বললেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট