গঙ্গা দূষণ রোধে বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গা থেকে প্রতিমার কাঠামো তুলে সম্প্রীতির নজির গড়লেন শেখ ফাফার, মহম্মদ রাহুল, শেখ আফ্রিদি, সাদ্দামেরা। শেওড়াফুলি (Sherafuli) ছাতুগঞ্জের ঘাটে একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বৈদ্যবাটি মুসলমান পাড়ার ওই সমস্ত তরুণদের মানপত্র দিয়ে সম্মানিত করেন চাঁপদানির বিধায়ক তথা বৈদ্যবাটি (Boidyabati) পুরসভার পুরপ্রশাসক অরিন্দম গুঁই (Arindam Guin)। ছিলেন পুরপ্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য পিন্টু মাহাত, বিদায়ী কাউন্সিলর নমিতা মাহাত এবং সংখ্যালঘু সংগঠনের নেতা মহন্মদ মঞ্জুর।
পুরসভা সূত্রে খবর, দশমী থেকে রবিবার পর্যন্ত দুর্গা প্রতিমা গঙ্গায় ভাসান হয়েছে। পরিবেশ বিধি মেনে গঙ্গা দূষণ মোকাবিলায় বৈদ্যবাটি পুরসভা বিভিন্ন ঘাটে বিসর্জনের পর প্রতিমার কাঠামো, বিচুলি তোলার জন্য সাফাই কর্মীদের নিয়োগ করে। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু বিসর্জনের পর দ্রুত গঙ্গা থেকে কাঠামো তোলার কাজে গতি আনতে মুসলমান পাড়ার ছেলেরা ও ছাতু গঞ্জের ঘাটে গঙ্গায় নেমে কাঠামো তোলার কাজে হাত লাগান। এরফলে অনেক অল্প সময়ের মধ্যে গঙ্গার ঘাট পরিষ্কার হয়ে যায়। এরপরেই পুরসভা থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তরুণদের উৎসাহ দিতে উদ্যোগী হয় পুরসভা।
পেশায় শ্রীরামপুর (Shreerampur) আদালতের মহুরি শেখ আবদুল হাসান বলেন, ছাতুগঞ্জে বারোয়ারি দুর্গাপুজো হয়। ছোট থেকেই তিনি ওই পুজো কমিটির সঙ্গে যুক্ত। পুজোর সময় যেমন আনন্দ করেন, ঈদেও হিন্দুরা সামিল হন। পুজোর সময় সম্প্রীতির ও একতার বার্তা দিতেই গঙ্গায় নেমে তাঁরা সবাই মিলে প্রতিমার কাঠামো তুলেছেন বলে জানান আবদুল হাসান। দূষণ রোধে পুরসভার কাজে হাত লাগানোয় বিধায়ক তথা পুরপ্রশাসক তাঁদের মানপত্র দিয়ে সম্মানিত করায় তাঁরা গর্বিত।
বিধায়ক অরিন্দম গুঁই বলেন, নতুন প্রজন্মের সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি সচেতন। সেই কারণেই সমস্ত বিভেদ ভুলে দুর্গাপুজোতে শুধু সামিল হননি, সঙ্গে গঙ্গা দূষণ রোধে বিসর্জনের পর প্রতিমার কাঠামো তুলে পরিবেশ বান্ধব মনোভাবের পরিচয় দিয়েছে।তাঁদের উৎসাহিত করতেই এই সম্মাননা।
আরও পড়ুন- কৃত্রিম পা খুলে দেখান! বিমানবন্দরে অপমানিত সুধা চন্দ্রণ চাইলেন মোদির হস্তক্ষেপ