৩১ অক্টোবর ফের ত্রিপুরায় অভিষেক, আগরতলায় করবেন সভা

উপনির্বাচন মিটলেই ফের ফের ত্রিপুরার পথে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আগামী ৩১ অক্টোবর, রবিবার ত্রিপুরা যাবেন অভিষেক। আগরতলায় তাঁর একটি বড়সড় কর্মসূচিও আছে। শুধু পুরভোটের প্রচার নয়, আগরলায় রাজনৈতিক সভাও করবেন অভিষেক। আজ, মঙ্গলবার আগরতলায় সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সাধারণ সম্পদক কুণাল ঘোষ।

এদিন আগরতলায় উপস্থিত সাংবাদিকরা জানতে চান ফের কবে ত্রিপুরা আসছেন অভিষেক। তখনই কুণাল ঘোষ আগরতলায় অভিষেকের কর্মসূচি জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, “অনেক আগেই ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসার কথা ছিল। কিন্তু বিজেপি ভয়ে তা হতে দেয়নি। অভিষেককে আটকাতে পুজোর আগেই আগরতলার মতো শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে জারি বিপ্লব দেব সরকার। তা না হলে ত্রিপুরায় অনেক আগেই আসতেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে এখানে এসে যেদিন ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরে পুজো দিতে যান, সেদিনও একাধিকবার অভিষেকের উপর হামলা হয়েছে। কিন্তু কেউ গ্রেফতার হয়নি। এরকম ভাবে তৃণমূলকে আটকে রাখা যাবে না। ত্রিপুরার মানুষের মনে তৃণমূল জায়গা করে নিয়েছে। তেইশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল ত্রিপুরায় সরকার গঠন করবে।”

প্রসঙ্গত, আগুন জ্বলছে ত্রিপুরায়। পুজোর মধ্যেও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যে আজ, মঙ্গলবার ত্রিপুরায় ফের তৃণমূল কংগ্রেসের উপরে হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। অমরপুরে আজ তৃণমূল কংগ্রেসের সভা ছিল। সেই সভায় যাওয়ার পথে দলের সমর্থকদের উপরে হামলা চালানো হয়। এমনটাই অভিযোগ করা হল তৃণমূলের তরফে। পাশাপাশি, সভায় যাওয়ার পথে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, সুবল ভৌমিকের গাড়িও আটকে দেয় পুলিশ। এমনও অভিযোগ উঠল। এরপর আগরতলা ফিরে কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ত্রিপুরা প্রশাসন ও বিজেপিকে একহাত নেন।

এনিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “ত্রিপুরায় জঙ্গলরাজ চলছে। আগরতলা থেকে অনেকটা দূরে অমরপুর। সুন্দর পাহাড়ি এলাকা। সেখানেই তৃণমূলের একটি কর্মসূচি ছিল। তার জন্য অনুমতিও নেওয়া হয়েছিল। সভায় আসার পথে তৃণমূল সমর্থদের উপরে হামলা চালায় বিজেপি। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, অনেকে আহত হয়েছে। পুলিশ নীরব দর্শক ছিল। যেখানে হামলা হয়েছে তার আগেই পুলিশ দিয়ে আমাদের আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ বা এসডিপিও কেন যেতে বাধা দিচ্ছে তার সদুত্তর দিতে ব্যর্থ। পুলিশকে রাজনীতির কাজে ব্যবহার করছে বিপ্লব দেব সরকার।”

কুণাল ঘোষ আরও বলেন, “তৃণমূল কর্মীদের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে, বিজেপি যা করেছে করুক তারা যেন কোনও প্ররোচনায় পা না দেন। তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা শান্তিপূর্ণভাবে থানা ঘেরাও করেছেন। ওই জায়গায় আমাদের যাওয়ার কোনও উপায় নেই। কারণ পুলিশ আমাদের আটকে দিচ্ছে। এর আগে যখনই আমরা ওখানে যেতে চেষ্টা করেছি তখনই আমাদের আটকে দেওয়া হয়েছে। মামুন খান আমাদের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তাকে এমনভাবে মেরেছে যে তাকে কলকাতায় নিয়ে যেতে হয়েছে। আজ তার ডায়ালিসিস করা হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে হামলার দিন থেকে আজ পর্যন্ত একের পর এক হামলা হচ্ছে। একজনকেও গ্রেফতার করেনি এখানকার পুলিশ। অথচ তৃণমূলে নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।”

আরও পড়ুন- বাংলাদেশ ইস্যুতে বিজেপিকে কড়া জবাব অভিষেকের

 

Previous articleবাংলাদেশ ইস্যুতে বিজেপিকে কড়া জবাব অভিষেকের
Next articleএবার চিন সীমান্তে কার্গিলজয়ী পিনাকা পাঠালো ভারত