রাত পোহালেই ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক প্রস্তুতিপর্ব

রাত পোহালেই রাজ্যের ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন(ByPollElection)। তৃণমূলের(TMC) ২ জয়ী বিধায়কের মৃত্যুর কারণে উপনির্বাচন হচ্ছে গোসাবা(Gosaba) ও খড়দহে(khardah)। অন্যদিকে বিজেপির(BJP) দুজন জয়ী প্রার্থী নিশীথ প্রামানিক ও জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদ গ্রহণ না করায় উপনির্বাচন করানোর প্রয়োজন পড়েছে দিনহাটা(Dinhata) এবং শান্তিপুর(Santipur) কেন্দ্র। এই চারটি কেন্দ্রে ৪-০ লক্ষ্যে ময়দানে নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। অন্যদিকে মরিয়া বিজেপিও। শনিবার এই চার কেন্দ্রে শুরু হবে নির্বাচন, তার আগে জোরকদমে সারা হচ্ছে প্রস্তুতি পর্ব।

দিনহাটা
গতবার নির্বাচনে জয়ী হলেও বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামানিক বিধায়ক পদ গ্রহণ না করায় উপনির্বাচনের প্রয়োজন পড়ে এই কেন্দ্রে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিধানসভা কেন্দ্রে ৪১৭ টি বুথ। বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলার শীতলকুচিতে ঘটে গিয়েছিল মর্মান্তিক ঘটনা। ফলে এমন পরিস্থিতি যাতে পুনরায় তৈরি না হয় তার জন্য সর্তক প্রশাসন। চারটি কেন্দ্রের মধ্যে সর্বাধিক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এই কেন্দ্রে। নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েন থাকছে ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আজ থেকেই জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে সেনা টহলদারি। এই কেন্দ্রে এবার তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয়েছে উদয়ন গুহকে। পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন অশোক মন্ডল। ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে দাঁড়িয়েছেন আবদুর রউফ।

খড়দহ
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিং। যদিও ফল প্রকাশের আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। যার ফলে এই কেন্দ্রে এবার উপনির্বাচন হচ্ছে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রে বুথের সংখ্যা ২৩৫ টি। অশান্তির আশঙ্কা করে এই কেন্দ্রের সমস্ত বুথেই স্পর্শকাতর’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে প্রতিটি বুথেই থাকবেন একজন করে মাইক্রো অবজার্ভার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে মোট ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্র এবার তৃণমূলের তরফে প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বি বিজেপি প্রার্থী বিজেপির জয় সাহা।

গোসাবা
প্রায় ২৭ হাজারেরও বেশি ভোটে অসম বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী জয়ন্ত নস্কর। করোনায় তাঁর মৃত্যুর পর আগামীকাল গোসাবা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, গোসাবা কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ৩৩০ টি। কোনরকম অশান্তি এড়াতে একেবারে কড়া নজরদারিতে এই কেন্দ্রে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। মোট বুথের ৪৩ টিতে থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরা। ৩০ টি বুথে থাকবেই ভিডিওগ্রাফির ব্যবস্থা, এবং ১৮৯ বুথ থেকে লাইভ সম্প্রচার হবে ভোটগ্রহণের। তৃণমূলের তরফে এই কেন্দ্র থেকে এবার প্রার্থী হয়েছেন সুব্রত মন্ডল অন্যদিকে এখানে বিজেপির তরফে প্রার্থী করা হয়েছে পলাশ রানাকে।

শান্তিপুর
গতবার এই কেন্দ্র থেকে ১৫ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। তবে তিনি সাংসদ পদ না ছাড়ায় উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে এই কেন্দ্রে। ফলস্বরূপ রাজ্যের চারটি কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম হাইভোল্টেজ কেন্দ্র শান্তিপুরও। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ২৬৪ টি বুথে আগামীকাল চলবে ভোটগ্রহণপর্ব। যার মধ্যে বেশিরভাগ বুথকেই স্পর্শকাতর’ হিসেবে ঘোষণা করেছে কমিশন। কোনরকম অশান্তি এড়াতে ২২ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে এই কেন্দ্রে। তৃণমূলের তরফে এবার এই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে ব্রজকিশোর গোস্বামীকে। পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস, এছাড়াও সিপিএম ও কংগ্রেস থেকে দাঁড়িয়েছেন সৌমেন মাহাতো ও রাজু পাল।

 

Previous articleপ্রায় ৬ মাস পর চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন, সঙ্গে বেশ কিছু শিথিলতা
Next article৫১-তে ৫১ প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ত্রিপুরা পুরভোট জমিয়ে দিল তৃণমূল