ত্রিপুরায় চলছে চক্রান্ত, ২৪ ঘন্টা আগে অভিষেকের সভাস্থল সরাতে নির্দেশ, অনড় তৃণমূল

ত্রিপুরায় বিজেপির পুলিশের স্বৈরাচার অব্যাহত। রবিবার দুপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। তার ঠিক ২৪ ঘন্টা আগে পুলিশ জানাচ্ছে সভাস্থল সরাতে হবে। সভার প্রস্তুতি যখন মাঝপথে তখন কেন এই নির্দেশ? ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ পুলিশকে সাফ জানিয়ে দেন, সভা হবে। পুলিশ লাঠি আর বন্দুক দিয়ে যদি ভাঙচুর করতে চায়, করুক। ত্রিপুরার মানুষ দেখছেন।

প্রায় দিন দশেক আগে ত্রিপুরা পুলিশের থেকে আগরতলার রবীন্দ্রভবন চত্বরে সভা করার জন্য অনুমতি নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সভার প্রস্তুতিও চলছিল। কুণাল ঘোষ ও ত্রিপুরা টিএমসির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিকের নেতৃত্বে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচার পর্ব চলছিল। মানুষ ভিড় করছিলেন সভায়। সভায় ঐতিহাসিক ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়ে রয়েছে। ত্রিপুরার মানুষ প্রকাশ্যেই বলছিলেন, স্বৈরাচার ও অকর্মন্য বিপ্লব দেবের হাত থেকে সকলেই নিস্তার চাইছেন।

সভা সফল হবে বুঝতে পেরে বিপ্লব দেব সরকার তিনটি পদক্ষেপ নেয়…
১. ২৪ ঘন্টা আগে অন্য রাজ্য থেকে যারা আসবেন, তাদের ৪৮ ঘন্টা আগে করা আরটিপিসিআর রিপোর্ট লাগবে
২. কুণাল ঘোষ উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন বলে পুলিশ সুয়োমোটো এফআইআর করে।
৩. সভা বানচাল করতে কোভিডবিধি ও প্রচুর লোক হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে সভা আস্তাবল মাঠে সরাতে বলে।

পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের ক্রমান্বয় চক্রান্তের জেরে ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব শনিবার রবীন্দ্রভবন চত্বরে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দেন, অনেক সহ্য করা হয়েছে। আর নয়। নিয়ম মেনে অনুমতি নেওয়া হয়েছে। পুলিশ অনুমতি দিয়েছে। ২৪ ঘন্টারও কম সময় আগে সভাস্থল পরিবর্তন করতে বলছে। মগের মুলুক নাকি! আইন বলে কিছু নেই! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘জেড’ ক্যাটেগরি নিরাপত্তা বলয়ে থাকেন। ফলে সভাস্থলের প্রস্তুতিতে বহু নিয়ম ও সতর্কতা রাখতে হয়। সম্ভবই নয় সভাস্থল পরিবর্তন। আসলে বিজেপি ভয় পেয়েছে অভিষককে, ভয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। সভা হবে। পুলিশ যদি ভাঙচুর করে করুক, লাঠি চালায় চালাক। রবিবার সভা হবে আগরতলা রবীন্দ্রভবন চত্বরেই।