গ্রেফতারের চক্রান্ত! নজিরবিহীনভাবে কুণালকে ত্রিপুরা পুলিশের তলব

ত্রিপুরায় ভয় পেয়েছে বিপ্লব দেবের সরকার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ঘিরে যখন ত্রিপুরায় তুমুল উন্মাদনা, তখন চক্রান্তের খেলা শুরু করে দিল ত্রিপুরা বিজেপি-পুলিশ। পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে বলে এখন যেন-তেন প্রকারে ত্রিপুরায় তৃণমূলকে (Tmc) কোণঠাসা করতে চাইছে বিজেপি (Bjp)। জনসভায় বক্তব্য নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) নজিরবিহীনভাবে একদিনের মধ্যে থানায় তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ত্রিপুরা পুলিশ কুণাল ঘোষের নামে মামলা করেছে। তাঁকে গ্রেফতারের চক্রান্ত করা হচ্ছে।

রবিবার, ত্রিপুরায় সভা রয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bandyopadhyay)। তাঁর সভা ঘিরে ত্রিপুরার মানুষের মধ্যে তুমুল উদ্দীপনা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কী বার্তা দেন, সে দিকে তাকিয়ে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষ। প্রচারের কাজে এখন ত্রিপুরায় রয়েছেন কুণাল ঘোষ। গত চার-পাঁচদিন ধরে আগরতলা ও সংলগ্ন এলাকা চষে ফেলেছেন তিনি। সেখানে সব সভা থেকেই সে রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তুমুল আক্রমণ করছেন তৃণমূল মুখপাত্র। সভায় কুণাল বলেন, “জনবিরোধী নীতি জনগণকে পর্যুদস্ত করা বিজেপি নজর ঘোরাতে ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগান দিয়ে হিন্দুত্বের রাজনীতি করছে। আমিও হিন্দু। আমি ঈশ্বরবিশ্বাসী। আমিও রামচন্দ্রকে নমস্কার করি। কিন্তু মা, বোনেদের বলব জয় শ্রীরাম বলে কেউ বিজেপির ভোট চাইতে এলে তাদের জিজ্ঞেস করবেন রামচন্দ্র রাজা হলেও মা সীতাকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কেন জঙ্গলে যেতে হয়েছিল? কেন পাতালপ্রবেশ করতে হয়েছিল? বিজেপি হিন্দুত্বের দোকান খুলে ভোট চায়। আমরা ধর্মের নামে রাজনীতির বিরুদ্ধে। আমরা সম্প্রীতি, সংহতি চাই। ধর্ম থাকুক নিজের কাছে। রোটি, কাপড়া আউর মাকানের অধিকারের লড়াই থাকুক রাজনীতির ময়দানে।” কুণাল ঘোষের প্রত্যেকটি সভাতেই উপচে পড়া ভিড়। তাঁর কথায় সভায় উপস্থিত জনতা বিপুল সমর্থন জানাচ্ছেন। এমনকী, সভার ভিড় সামলাতে পুলিশকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তৃণমূলের প্রচার দেখে ভিত ত্রিপুরার বিজেপি-পুলিশ। অভিষেকের সফর নিয়ে আতঙ্কে ভুগছে বিপ্লব দেবের সরকার। তৃণমূলকে ভয় পেয়ে তাদের কোণঠাসা করার চেষ্টা শুরু করেছে। কণ্ঠরোধ করতে চাইছে।

বিজেপির উগ্র হিন্দুত্বের রাজনীতির বিরুদ্ধে ত্রিপুরার মানুষ সচেতন হচ্ছেন। পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের লাগাতার দাম বৃদ্ধি থেকে নজর ঘোরাতে ধর্মীয় রাজনীতির খেলার মুখোশ প্রতিটি সভায় খুলে দিচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই কারণে দমনপীড়নের উদ্দেশ্যেই এই মামলা।

আরও পড়ুন- রোমে উষ্ণ অভ্যর্থনা মোদিকে, সাক্ষাৎ করলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃত্বের সঙ্গে

 

 

 

Previous articleকড়া নিরাপত্তায় আর কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ