তথাগত রায় মানেই বিস্ফোরণ। কিছুদিন আগেই সারমেয়র মুখের সঙ্গে কৈলাশ বিজয়বর্গীর মুখ দিয়ে ট্যুইট করেছিলেন। বিতর্ক বেড়েছিল। আর রবিবার সরাসরি বললেন, যতদিন যাচ্ছে কৈলাশের উপর আমার ঘৃণা বাড়ছে। ওর কথা যত কম বলা যায়, ততই ভাল।

রবিবার, সেন্ট্রাল এভিনিউয়ের পার্টি অফিসে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। সেখানে সংগঠন থেকে শুরু করে দিল্লির সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। রাজ্য সভাপতি কালীপুজোর আগেই নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করবেন। তার আগে বসেছিলেন রাজ্যের সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে। একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে দলের বেশ কিছু নেতার আচার-আচরণ নিয়ে খোলাখুলি কথা হয় তথাগত-সুকান্তর। সেখানে যেমন অর্থকরী বিষয় রয়েছে, তেমনি চারিত্রিক নানা ত্রুটি বিচ্যুতির কথাও আসে। পরে প্রকাশ্যে তথাগত বলেন, আমি যা বলার বলেছি। কৈলাশ সম্বন্ধে যত কম বলা যায়, তত ভাল। প্রতিদিন ওর উপর ঘৃণা বাড়ছে। আমি যতদূর জানি ওকে আর বাংলার কোনও দায়িত্ব দেওয়া হবে না। ওকে অন্য কোনও রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হবে কিনা সে নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভাবছে। তথাগতর এই আক্রমণ নিয়ে দলেই নানা মত। কেউ বলছেন, ওনার কথার কোনও গুরুত্ব নেই। এক মহিলা নেত্রী নাম প্রকাশ্যে না আনার নিশ্চয়তা পেয়ে বলেছেন, যা যা বলেছেন, ঠিক কথা। একজন নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ। তিনি মুখ দেখান কী করে? বিজেপি ক্রমশ নোংরা পার্টিতে পরিণত হচ্ছে। বিজেপির অন্দরমহলের প্রবল কলহের সুর শোনা যাচ্ছে বাইরে থেকেই।

আরও পড়ুন:বৈদ্যবাটীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেল গেট ভেঙে ঢুকল গাড়ি
