সোনার গয়না, ব্রোঞ্জের মূর্তি ও মূল্যবান পাথরে ঘেরা দ্বীপের সন্ধান পেলেন মৎস্যজীবীরা

সুমাত্রা দ্বীপের কাছে এক ‘সোনার দ্বীপ’-এর খোঁজ পেল ইন্দোনেশিয়ার  মৎস্যজীবীদের একটি দল। জানা গেছে, স্থানীয় মৎস্যজীবীদের অনুসন্ধানের ফলেই দ্বীপটি পাওয়া গেছে। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার মুসি নদীর মাঝে ওই দ্বীপের সন্ধান পাওয়া গেছে। পাশাপাশি দ্বীপের সঙ্গে হারানো এক সভ্যতারও সন্ধান পাওয়া গেছে। মুসি নদীতে কুমির বসবাস করায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই মৎস্যজীবীরা এই অনুসন্ধান চালান। সোনায় পরিপূর্ণ ওই দ্বীপ থেকে মূল্যবান পাথর, সোনার গহনা, ব্রোঞ্জের মূর্তি ও একটি দুর্মূল্যের বুদ্ধমূর্তি পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন- লজ্জার হার ভারতের, নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হারল বিরাট কোহলির দল

উদ্ধার হওয়া সেই সব জিনিসপত্রের মধ্যে ছিল বিভিন্ন রত্ন, আংটি, কয়েন এবং আরও কিছু জিনিস। তাছাড়াও ছিল অষ্টম শতকের একটি গৌতম বুদ্ধের মূর্তিও। মনে করা হচ্ছে সেই মূর্তির দাম কয়েক লক্ষ পাউন্ড।

আরও পড়ুন- করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা! এবার বাড়ি-বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়ার নির্দেশ রাজ্যের
জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সেই ‘খাজানা’তে ছিল সোনার আংটি, কয়েন, মূর্তি, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কাঁসার ঘটি ইত্যাদি। বহু বছরের পুরনো সেই জিনিসপত্রগুলি মূলত উদ্ধার করা হয় মুসি নদী থেকে।
গত কয়েক বছর ধরেই এই ধন সম্পদ উদ্ধারের চেষ্টায় ছিলেন মৎস্যজীবীরা। অবশেষে এতদিনে সাফল্য পেলেন তাঁরা। গত ৫ বছর ধরে পালেমবাংয়ের কাছে মুসি নদীতে এই অভিযান চলছিল।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওই সমস্ত জিনিসগুলি রত্ন, মূর্তি আদি শ্রীবিজয় সভ্যতার। শ্রীবিজয় রাজবংশ সপ্তম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর মাঝে এক শক্তিশালী সাম্রাজ্য ছিল। এবং রহস্যজনক ভাবেই উধাও হয়ে যায় সেই সভ্যতা। পালেমবাংকে সেই রাজবংশের স্বর্ণ দ্বীপ বলা হত। এতদিনে আবার খোঁজ মিলল তার। আরও জানা গিয়েছে যে, ভারতের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক ছিল ওই রাজবংশের। এমনকী, ভারত থেকে বিভিন্ন জিনিস রপ্তানিও করা হত সেখানে।

ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ সিয়েন কিঙ্গলে জানিয়েছেন, এই সভ্যতার চারপাশ জল বেষ্টিত ছিল। এ জন্য একে ‘ওয়াটার ওয়ার্ল্ড’ বলা হতো। পানিতে ঘেরা থাকায় অনেকে নৌকার উপরেই ঘর বানিয়ে থাকতেন। কিন্তু সভ্যতার বিলুপ্তির সঙ্গে সঙ্গে নৌকায় বানানো ঘর, মন্দির ও প্রাসাদ সবই জলে ডুবে যায়।
জানা গেছে, সাম্রাজ্যটিতে ২০ হাজারের বেশি সেনা ছিল। পাশাপাশি অনেক বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরও বসবাস ছিল। প্রত্নতত্ত্ববিদরা অনেক আগে থেকেই এমন সভ্যতার ধারণা পেয়েছিলেন। কিন্তু এর কোনো সন্ধান মিলছিল না।বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্দোনেশিয়ার অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ধ্বংস হয়েছে সভ্যতাটি। আবার একাংশের মতে, নদীর ভয়ঙ্কর বন্যার কারণেই বিলুপ্তি হয়েছে সভ্যতাটির।

Previous articleআজ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি ঘোষণা হতে পারে
Next articleআজ আরও নামবে তাপমাত্রা, সপ্তাহজুড়ে চলবে শীতের আমেজ