Sunday, November 9, 2025

ত্রিপুরার মন্ত্রী ও বিজেপি নেতাদের কুৎসার কড়া জবাব দিয়ে পাল্টা চাপ বাড়ালেন কুণাল ঘোষ

Date:

সোমনাথ বিশ্বাস, আগরতলা

ত্রিপুরার মন্ত্রী ও বিজেপি নেতাদের কুৎসার কড়া জবাব দিয়ে পাল্টা চাপ বাড়িয়ে গেলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সোমবার কলকাতা ফেরার আগে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়ে যান তিনি।

আরও পড়ুন- এক ধাক্কায় ২৬৬ টাকা বাড়লো LPG সিলিন্ডারের দাম, লাগামছাড়া পেট্রোল-ডিজেলও

*বিজেপির অভিযোগ: তৃণমূলের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন।

কুণাল: একদম না। ওঁরা বাংলার ভোটের আগে বাংলায় গিয়ে কী করেছিলেন মনে আছে? ওওওও দিদি সুর করে নেত্রী ও অভিষেককে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন বারবার। ‘বিগ ফ্লপ দেব’ও গিয়ে কুৎসা করেছিলেন। এখন বড় বড় কথা? অভিষেক যা বলেছেন ঠিক করেছেন। দেখ কেমন লাগে!

* বিজেপির অভিযোগ- সারদা, নারদার টাকায় সভা করেছে তৃণমূল।

কুণালের জবাব- বাজে কথা না বলে তথ্যপ্রমাণ দিয়ে সিবিআইকে জানাক ওদের মন্ত্রী। এরপর মন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মোদির সুরে কুণাল বলেন,” ওওওওওও সুশান্ত, তুমি কি জানো সারদার মালিক সুদীপ্ত সেনের দুটো চিঠিতেই টাকা নেওয়ার তালিকায় বিজেপির নেতা এখন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নাম আছে? কেন গ্রেপ্তার করেনি সিবিআই? ওওওওও সুশান্ত, নারদায় সিবিআই এফ আই আরে নাম শুভেন্দু অধিকারীর। সারদা নথিতেও ওর নাম। গ্রেপ্তার হয়নি কেন? এসব কথা তুললে সমস্ত নথি দেখিয়ে মানুষকে সবটা বুঝিয়ে দেব। সস্তা রাজনীতি বন্ধ করো।

* বিজেপির অভিযোগ- তৃণমূলের সভায় বাইরের লোক ছিল।

কুণালের জবাব- আগরতলা আর ত্রিপুরার মানুষই তৃণমূলের সভার পক্ষে যথেষ্ট। হাইকোর্ট 500 জনের নির্দেশ দিয়েছিল। আমরা মেনেছি। ওরা তো মূল সভাটা এত চেষ্টা করেও আটকাতে পারেনি। আমরা বারণ করলেও সভা থেকে দূরে প্রচুর মানুষ ছিলেন। নির্দেশ না থাকলে অন্তত আট দশ হাজারের জমায়েত হত, পুলিশই বলছে। বাইরের কিছু কর্মী আসতেই পারে। সেটা 0.1% -এর বেশি নয়। বিধানসভার আগে বাংলায় কত লোক নিয়ে গেছিল বিজেপি? জেলায় জেলায় হোটেল বুকিং ছিল। সেসব খাতা খুলব নাকি? আমাদের দল এখানে নতুন করে কাজ শুরু করেছে। এখানকার সংগঠকদের সাহায্য করতে দুএকজন অভিজ্ঞ কর্মী আসতেই পারেন। এখানে জঙ্গলরাজ চলছে। তাই দুএকজন সাংসদ বা মন্ত্রী আসতেই পারেন। আমাদের নেতাদের উপর হামলা হলে তো পুলিশ বাঁচায় না। হামলাকারীদের মিষ্টিমুখ করিয়ে সন্দেশ রসগোল্লা খাওয়াতে স্বেচ্ছাসেবী থাকলে ক্ষতি কী? বিজেপি সভা আটকাতে পারেনি। লক্ষ লক্ষ মানুষ মিডিয়াতে সভা দেখেছেন। বিজেপি বুঝেছে পায়ের তলা থেকে মাটি সরছে। তাই আতঙ্কে ভুগছে। প্রলাপ ভুগছে। সাধারণ মানুষের উপরেও জুলুম করছে। বিমানবন্দর, স্টেশন, সড়ক, সব জায়গায় হেনস্থা চলছে। যাদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই, তাদেরও হয়রান করছে। মানুষ বিরক্ত। যিনি হয়ত তৃণমূলকে ভোট দিতেন না, এবার তিনিও তৃণমূলকে ভোট দেবেন। বিজেপি জুলুম করে আমাদের সমর্থন বাড়িয়ে দিল।

 

Related articles

ইডেনে ব্যাটিংয়ে জোর দিতে চান গম্ভীর! ভাবনায় দুই কিপার

চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলতে নামছে ভারত। ইডেনের প্রথম ম্যাচে ভারতীয় দলের প্রথম একাদশ কেমন...

SIR আতঙ্কে সন্তানকে নিয়ে বিষ খেলেন মা! পরিবারের পাশে তৃণমূল

নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, না নেই। রাজ্যজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সেই আতঙ্ক ক্রমশ স্পষ্ট। বিহারের উদাহরণ...

জাত-পাতের ভাগ করে রাজনীতিকরা! জাতিভেদ তুলে দিতে সরব মোহন ভাগবত

ভারতে রাজনৈতিক কারণে জাত-পাত নিয়ম বর্তমান। এবার সরব আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। আদতে দেশের রাজনীতিতে মানুষের সমান অধিকার...

বালিচকের প্লাটফর্মে ধাক্কা মালগাড়ির, অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

রবিবার সকালে খড়্গপুর ডিভিশনে রেল দুর্ঘটনা। নটা নাগাদ বালিচক স্টেশনে বিকট আওয়াজে একটি মালগাড়ির ইঞ্জিন ধাক্কা মারে প্ল্যাটফর্মে।...
Exit mobile version