বামেদের ভোটের খরায় ‘শান্তিজল’ শান্তিপুর

চারে চারে জোড়া ফুল। হোয়াইট ওয়াশ বিজেপি (Bjp)। তবে মঙ্গলবার 4 কেন্দ্রের উপনির্বাচনের নির্বাচনের ফলে উল্লেখযোগ্য হল বামেদের ফল। বিশেষ করে শান্তিপুর (Shantipur)। তাদের ইদানিংকালের ভোটের খরায় শান্তির দিয়েছে শান্তিপুর। তার সঙ্গে আশা জাগিয়েছে খড়দহও (Khardah)।

চার মাস আগে ১৬ হাজার ভোটে হারা আসন প্রায় ৬৫ হাজার ভোটে জেতেন তৃণমূল (Tmc) প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী (Brajakishor Goswami)। অর্থাৎ ৮০ হাজারেরও বেশি ভোটের পরিবর্তন। এরপরই পরেই নজরকাড়া হল বামেদের ঘুরে দাঁড়ানো। কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়া বামেরা এই কেন্দ্রে প্রায় 15% ভোট বাড়িয়েছে। তৃতীয় হলেও সিপিআইএম (Cpim) প্রার্থীর সঙ্গে বিজেপির ব্যবধান মাত্র আট হাজারেরও মতো। বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও আইএসএফ-র সঙ্গে জোট করে বামেরা। কিন্তু সেই সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী ১০ হাজার ভোটও পায়নি। সেখানে এবার সিপিআইএমের ভোট এসেছে প্রায় ৪০ হাজারে। বাম প্রার্থী সৌমেন মাহাত ভোট পেয়েছেন 19.57 শতাংশ। উপনির্বাচনে সিপিআইএম প্রায় 15 শতাংশ ভোট বাড়িয়েছে। একুশে নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার পেয়েছিলেন 49.94 শতাংশ ভোট। এবার বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস পেয়েছেন 23.22 শতাংশ ভোট. অর্থাৎ বিজেপির ভোট কমেছে 27 শতাংশ। আর পাটিগণিতের নিয়মেই দেখা যাচ্ছে সেই ভোট গিয়েছে বামেদের বাক্সে। শান্তিপুরে অবশ্য প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেসও। তারা সেই তিন হাজারের কোঠাতেই আটকে রয়েছে।

শান্তিপুরে একসময়ে বামেদের প্রভাব ছিল যথেষ্ট। এই আসনটি আরসিপিআই-কে ছাড়ত বামফ্রন্ট। বিধায়ক বিমলানন্দ মুখোপাধ্যায় বাম সরকারে মন্ত্রীও ছিলেন। কিন্তু ইদানিং ভাগ ভোট গ্রামে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। শান্তিপুরে সেই খেলাটা আবার ঘুরে গিয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন:এই প্রথমবার ভক্তিগীতি গাইলেন জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

Previous articleএই প্রথমবার ভক্তিগীতি গাইলেন জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
Next articleনিউদিল্লি কালীবাড়ির পুজো ইতিহাসের গর্বের স্বাক্ষর