“খাবার পাইনি”, প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি প্রসেনজিতের

খাদ্যের দাবিতে আন্দোলন। খাদ্যের জন্য মারামারি-লড়াই। ঠিক সময় খাবার না পেলে অনেক কিছুই হতে পারে। এমনকী বিখ্যাত চিত্রতারকা খোলা চিঠি লিখতে পারেন প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীকে। বিষয়টা একেবারেই কাল্পনিক নয়, ঘোর বাস্তব। খোলা চিঠি যিনি লিখেছেন তিনি টলিউডের সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prasenjit Chatterjee)। অনলাইনে খাবার অর্ডার দিয়ে না পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Bandopadhyay) খোলা চিঠি দিলেন টলিউডের বুম্বাদা।

চিঠিটি নিজের টুইটার হ্যান্ডেল (Twitter Handel) পোস্ট করেছেন প্রসেনজিৎ। সেখানে তিনি প্রথমেই উৎসবের মরসুমে মোদি-মমতাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এরপরই প্রসেনজিৎ লেখেন একটি বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। 3 নভেম্বর ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে তিনি খাবার অর্ডার করেন। কিছুক্ষণ পরে অ্যাপ থেকে দেখানো হয় যে, তাঁর খাবার ডেলিভারি দেওয়া হয়ে গিয়েছে। অথচ সে খাবার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে এসে পৌঁছয়নি। দাম আগেই দেওয়া ছিল। তিনি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা টাকা ফেরত দিয়ে দেন।

কিন্তু প্রসেনজিতের বক্তব্য যেকোনো মানুষের সঙ্গে এটা ঘটতে পারে। কেউ হয়তো তাঁর অতিথিদের জন্য খাবার অর্ডার করেছেন, সে খাবার আর এলোই না! অথবা কেউ এই অনলাইন খাবার ডেলিভারি অ্যাপের উপরেই নির্ভরশীল। এরকম ঘটনা হলে তাঁর রাতের খাওয়া হবে না। তিনি কি অভুক্ত থাকবেন? প্রসেনজিৎ লিখছেন, তাঁর মনে হয় এ বিষয়ে আলোচনা অত্যন্ত জরুরি।

বোঝাই যাচ্ছে ঠিক সময় খাবার না পেয়ে বেজায় চটে গিয়েছেন পর্দার ‘কাকাবাবু’। তবে, শুধু তিনিই নন, অনলাইনে খাবার অর্ডার করে ঠিক সময় না পাওয়া, অর্ডার বাতিল হওয়া, এক খাবারের পরিবর্তে অন্য খাবার পাওয়া এসব ঘটনা আকছার ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে আগে এভাবে কেউ সরব হয়েছেন বলে শোনা যায়নি। এখন প্রসেনজিতের পদক্ষেপে সমস্যা সমাধান হয় কি না সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন- জ্বালানির দাম থেকে ত্রিপুরা সন্ত্রাস, বিজেপিকে “হাইব্রিড শকুন” বলে কটাক্ষ কুণালের

 

 

Previous articleমুক্তির প্রথম দিনেই ২৬ কোটির ব্যবসা ‘সূর্যবংশী’র
Next articleত্রিপুরায় ভাইফোঁটা উৎসব থেকে শান্তি-সম্প্রীতি-সৌভ্রাতৃত্বের অঙ্গীকার তৃণমূলের