বাম সন্ত্রাসের মধ্যেই কলকাতা পুরসভা জিতেছিল তৃণমূল, ত্রিপুরায় ভোকালটনিক রাজীবের

“ঘরওপাসির” পর দলের নির্দেশে ত্রিপুরায় পুরভোটের ময়দানে কোমর বেঁধে নেমে পড়লেন বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি আগরতলা পুরসভার তৃণমূল প্রার্থী, স্থানীয় নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকদের নিয়ে এদিন ঘরোয়া বৈঠক করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি মূলত প্রার্থী ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভোকাল টনিক দেন। বাম জমানায় পশ্চিমবঙ্গের উদাহরণ টেনে রাজীব বলেন, “মার খেয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর অভ্যাস তৃণমূল কংগ্রেসের আছে। তাই আপনাদের সকলকে বলি এই লড়াইয়ে যখন নেমে পড়েছেন, তখন এমন মানসিকতা তৈরি করুন, যাতে মার খেয়েও ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই দেওয়া যায়। ভয় পেলে চলবে না। মাঠে ময়দানে এখন আমরাও এসেছি। তৃণমূল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব আগরতলা পুরভোট নিয়ে যথেষ্ট সিরিয়াস। সুবলদা খুব পরিশ্রম করছেন। সুস্মিতা দেব ত্রিপুরার মাটি কামড়ে পড়ে আছেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রতিনিয়ত নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক-সাংসদরা আপনাদের পাশে দাঁড়াতে ত্রিপুরায় ছুটে আসছেন। আমাকেও দল দায়িত্ব দিয়েছে, এই পুরভোটে দল দায়িত্ব দিয়েছে। প্রচারে অন্য নেতৃবৃন্দ আসবেন।”

এরপরই তিনি বলেন, “ত্রিপুরার মতোই পশ্চিমবঙ্গে বাম জমানায় গোলা-গুলি, সন্ত্রাসের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে প্রথমবার তৃণমূল কংগ্রেস কলকাতা পুরসভা দখল করেছিল। তখন কিন্তু আমাদের দল সরকারে আসেনি। বাম জামানাতে কলকাতা পুরসভা দখল করে ছিলাম আমরা। লড়াইয়ের মানসিকতা, মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার রাখলে, পাশে থাকেন মানুষ। ত্রিপুরার মানুষ তাকিয়ে আছে আগরতলা পুরভোটের দিকে। এবার মানুষের ইচ্ছার মর্যাদা দেওয়ার দায় দায়িত্ব আপনাদের কাঁধে।”

প্রসঙ্গত, আগরতলা পুরনিগমের ৫১ আসনের প্রতিটিতে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে প্রধান বিরোধী বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস প্রার্থীরা বিজেপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস কিন্তু বুক চিতিয়ে লড়ছে। ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির কনভেনর সুবল ভৌমিক-এর নেতৃত্বে প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রার্থীরা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছেন। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। সবমিলিয়ে জমে উঠেছে আগরতলা পুরসভা ভোটের লড়াই।

আরও পড়ুন:লখিমপুর কাণ্ড: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে আশিস মিশ্রের বন্দুক থেকেই চলেছিল গুলি,ফরেন্সিক রিপোর্টের দাবি

Previous articleলখিমপুর কাণ্ড: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে আশিস মিশ্রের বন্দুক থেকেই চলেছিল গুলি,ফরেন্সিক রিপোর্টের দাবি
Next article১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে চালু দুয়ারে রেশন প্রকল্প: বিধানসভায় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর