Wednesday, December 3, 2025

সাবেকি লাল রঙ অতীত, লেপ- বালাপোষের গায়ে এখন তৃণমূলের প্রতীক !

Date:

Share post:

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীকে মিস্টি তৈরি হয়েছে, এটা দেখতে অভ্যস্ত আমরা। তবে বাতাসে শীতের আমেজ পড়তেই বালাপোষ, লেপে এবার জায়গা করে নিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক চিহ্ন। এমন দৃশ্য নিঃসন্দেহে এই প্রথম।
শীতের শুরুতে রামপুরহাট পুরসভার মাঠে যে হারে শাসক দলের প্রতীক চিহ্ন ছাপা বালাপোষ , লেপ তৈরি হচ্ছে তা দেখে আপনিও অবাক হবেন বৈকি। পুরো বিষয়টি অবশ্য জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছেন । তাদের বক্তব্য, দলের জনপ্রিয়তা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে দুয়ার টপকে দলীয় প্রতীক এখন ঘরে প্রবেশ করেছে।
রামপুরহাট পুরসভার মাঠে দেখা একদল ধুনুরি অর্ডার অনুযায়ী শীতের লেপ ও বালাপোষ তৈরি করে চলেছেন। শুধুমাত্র ব্যতিক্রম এই যে অন্যান্য বার মূলত লাল রঙের কাপড় দিয়ে কাজ করতে হত, এবার সেখানে জ্বলজ্বল করছে জোড়া ফুল।
অবশ্য এতে বেজায় খুশি ধুনুরিরা। তারা বলছেন, প্রথম এক মহিলা এমন কাপড় দিয়ে তৈরির বরাত দিয়েছিলেন। এখন চাহিদা তুঙ্গে। অনেকদিন পর ব্যবসা ভালই জমে গিয়েছে।

বালাপোষের ইতিহাস বলছে পুরনো সিন্থেটিক কাপড়, হোসিয়ারি কারখানার বাতিল কাপড় যন্ত্রের সাহায্যে পিষে তৈরি ‘তুলো’ দিয়ে তৈরি হয় এই বালাপোষ।
এক সময় মুর্শিদাবাদের একেবারে নিজস্ব এই শিল্পের নাম ছিল সর্বত্র। লম্বা আঁশের কার্পাস তুলোকে বীজ ছাড়িয়ে লাল রঙ্গে চুবিয়ে শুকিয়ে ভরা হতো মোলায়েম সিল্ক এবং মখমলের মাঝে। সুগন্ধের জন্যে দেওয়া হত আতর। বালাপোষের বিশেষত্ব হল মাঝে কোনও সেলাই থাকে না। চার পাশের সেলাই ধরে রাখে তুলোকে।
একটা সময় শীতে কম্বল ও লেপ মুড়ি দিয়ে, পশমের চাদর গায়ে দিয়েও শীত যাচ্ছিল না বাংলা, বিহার, ওডিশা সহ অভিবক্ত বাংলার। সেসময় নবাব ছিলেন মুর্শিদকুলি খাঁ। তার জামাই ছিলেন সুজাউদ্দিন, যিনি পরবর্তীকালে বাংলার নবাব হয়েছিলেন। তিনিই এর উপায় বের করেন।
অনেক ভাবনাচিন্তার পর সুজাউদ্দিনের নির্দেশে খলিফা রমজান শেখ তৈরি করেন তুলোর হালকা আবরণ। কার্পাস তুলোকে ঢেকে দেওয়া হয় সুন্দর সিল্ক কাপড়ে, নাম দেওয়া হয় বালাপোষ।  সেই বালাপোষেই এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক।

spot_img

Related articles

জেলা সফরে বহরমপুরে মুখ্যমন্ত্রী: বুধের সভার জন্য প্রস্তুত মালদহের গাজোল

মঙ্গলবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক শেষেই জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী। পৌঁছে যান মুর্শিদাবাদে বহরমপুরে। বুধবার সকালে  তিনি হেলিকপ্টারে করে উড়ে...

নিভৃতে… খাদ্যহীন! যার জন্য দেশে সূ্ত্রপাত ‘নারী আন্দোলনে’র, সেই ‘মথুরা’ই দুরবস্থায় মহারাষ্ট্রে

সেই সালটা ১৯৭২। এখন ২০২৫। মাঝে পেরিয়েছে ৫৩ বছর। এর মধ্যে তাঁকে ভুলেই গিয়েছে গোটা দেশ। হঠাৎ মনে...

বুধেই ভাগ্য নির্ধারণ! বাংলাদেশে বসে ফেরার অপেক্ষায় অন্তঃসত্ত্বা সোনালি

বাংলাদেশে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। ফলে জেলমুক্তি ঘটেছে। কিন্তু নিজের দেশে, নিজের ঘরে ফেরা কবে? আজও জানেন না বীরভূমের...

প্রশাসনিক গতি ফেরাতে যাদবপুরে দুই মাসের অস্থায়ী রেজিস্ট্রার সেলিম বক্স মন্ডল

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম দীর্ঘদিন ধরে রেজিস্ট্রার শূন্য থাকার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছিল। কর্মসমিতির বৈঠক হলেও রেজিস্ট্রার অনুপস্থিত থাকায়...