Blast In Afghanistan Mosque : আফগানিস্তানে আরও এক মসজিদে বিস্ফোরণ, প্রাণ গেল ৩ জনের, আহত বহু

শুক্রবার দুপুরে দেড়টা নাগাদ আফগানিস্তানের নানঘরহর প্রদেশের একটি মসজিদে আজান চলাকালীনই বিস্ফোরণ হয়।

0
2
প্রতীকী ছবি

আজ আরও এক শুক্রবার (Friday)। ফের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের (Blast In Afghanistan Mosque) এক মসজিদ (Mosque)। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, বিস্ফোরণে কমপক্ষে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। আহত হয়েছেন ১৫ জন। যদিও হামলার দায় এখনও স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী। শুক্রবার দুপুরে দেড়টা নাগাদ আফগানিস্তানের নানঘরহর (Nangharhar) প্রদেশের একটি মসজিদে আজান চলাকালীনই বিস্ফোরণ হয়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুর দেড়টা নাগাদ নমাজ শুরু হতেই মসজিদের ভিতরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, ইমামের বসার জায়গার পাশেই লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বিস্ফোরক। মসজিদে উপস্থিত ব্যক্তিদের দাবি, ইমাম স্পিকারের সুইচ অন করতেই বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে গুরুতর জখম হয়েছেন ইমাম নিজেও। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন-Foreign Liquor Price: হু হু করে কমতে চলেছে বিলিতি মদের দাম!

এর আগে কাবুলের এক হাসপাতালে বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনায় প্রাণ যায় ১৯ জনের। ঘটনায় আহত হয় আরও প্রায় ৫০ জন। এর আগে শিয়া মসজিতে জুম্মার নামাজের পরই হয় বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থল ছিল দক্ষিণ আফগান শহর কান্দাহার। বিস্ফোরণের অভিঘাতে মৃত্যু হয় ৩৩ জন। গুরুতর জখম ৭৪।  তার আগে জুম্মার প্রার্থনা চলাকালীন উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশের শিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে বিস্ফোরণ হয়। গত অগাস্ট মাসে আফগানিস্তানে তালিবান (Taliban) ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে।

এর আগে একাধিক বার বিভিন্ন মসজিদে বিস্ফোরণ হয়েছে। তাতে বহু মানুষ মারা গিয়েছেন। আবার আজও মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। যদিও বারবার এমন ঘটনা ঘটায় অভিযোগের তির আইএস জঙ্গি সংগঠনের দিকেই। এর আগে বিস্ফোরণের(blast) ঘটনা ঘটল পাকিস্তানের বালুচিস্তানে(Balochistan)। ভয়াবহ এই আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ৩ পাক নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়, অন্তত ২০ জন আহত হয়। প্রাণঘাতী এই হামলা চালানো হয় বালুচিস্তানের কুয়েতা রোডের উপর অবস্থিত এক চেকপোষ্টে। গোটা ঘটনার তদন্তে নামে বালুচিস্তান কাউন্টার টেরোরিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি)। তবে ওই হামলার দায় স্বীকার করে নেয় তেহরিক-ই-তালিবান(Tehorik e taliban) জঙ্গিগোষ্ঠী।