শুভেন্দুকে “চোর” বলা বিজেপি নেতা সুরিজিৎ কি তৃণমূলের পথে?

তিন দশক ধরে বিজেপি করে আসা সঙ্ঘের প্রচারক তথা বর্তমানে সাসপেন্ডের হাওড়া (সদর) জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহা

উড়ে এসে জুড়ে বসা শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikary) রিমোটে চলছে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। বাংলার বিজেপি নেতারা শুভেন্দুর কথায় ওঠে-বসে। যে শুভেন্দু এখনও বিজেপি কী, সেটাই জানে না। ও তৃণমূলটাকেই চেনে। বিজেপি বুঝতে আরও সময় লাগবে। আক্ষেপ ধরে না রাখতে পেরে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিন দশক ধরে বিজেপি করে আসা সঙ্ঘের প্রচারক তথা বর্তমানে সাসপেন্ডের হাওড়া (সদর) জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহা (Surajit Saha).

সুরজিৎবাবু সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন এখন তিনি ফ্রি। চব্বিশ ঘন্টা কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। তাঁর রক্তে রাজনীতি। মানুষের সেবা করার ব্রত নিয়েই ছোটবেলা থেকে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন সুরজিৎ। এই পরিস্থিতিতেই তৃণমূলের (TMC) তরফে সুরজিৎবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে দাবি বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা। সূত্রের খবর, সামনেই হাওড়া পুরভোট (Howrah Corporation Election)। তার আগে সুরজিতের মতো দক্ষ সংগঠকেকে নিজেদের দলে নিতে আগ্রহী ঘাসফুল শিবির। সেক্ষেত্রে পুরভোটের আগে বাড়তি সুবিধা পাবে শাসক দল, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সুরজিৎ সরাসরি এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য না করলেও, এমন জল্পনা কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না তাঁর “নো কমেন্ট” মন্তব্যে।

কে এই সুরজিৎ সাহা?

আরএসএস (RSS) করে উঠে আসা বিজেপি নেতা। গেরুয়া শিবিরের অ-আ-ক-খ, সবই তাঁর জানা। হাওড়া জেলায় ২৮ বছর বিজেপি করেছেন। ২০১৮ সাল থেকে নির্বাচিত জেলা সভাপতি। ২০০২ সালে হাওড়ার যুব সভাপতি ছিলেন। তার পর রাজ্য কমিটিরও সদস্য ছিলেন। তৃণমূল নেতাদের বিজেপি যোগ ভালভাবে নেননি তিনি। চাপা ক্ষোভ ছিলই। গত, বুধবার তা প্রকাশ্যে আসে। সুরজিৎ সাহা বলেন, “নির্বাচন কমিটি গঠনের জন্য মঙ্গলবার হাওড়া জেলার যে ২৩ জনকে ডাকা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই তৃণমূল থেকে আসা নেতা ছিলেন। তৃণমূলের বি-টিমের অধীনে আমরা কাজ করব না।”

আরও পড়ুন- Mukul Roy: মামলা বিচারাধীন জানিয়ে PAC চেয়ারম্যান পদে মুকুলের নিয়োগের শুনানির মুলতবি স্পিকারের

 

 

Previous articleBlast In Afghanistan Mosque : আফগানিস্তানে আরও এক মসজিদে বিস্ফোরণ, প্রাণ গেল ৩ জনের, আহত বহু
Next articleAriyan Khan: জন্মদিনেও NCB দফতরের হাজিরা দিলেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান