Demanding Train stoppage : ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে ধর্না, স্মারকপত্র প্রধানমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রীকে

ট্রেনের স্টপেজের (Agitation on Demand of train stoppage) দাবিতে মালদহের (Maldah) হরিশ্চন্দ্রপুরের কুমেদপুর স্টেশনে ধর্নায় বসলেন এলাকার বাসিন্দারা। দাবি সম্বলিত স্মারক পত্র পাঠানো হলো প্রধানমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রীকে। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই ধীরে ধীরে চলতে শুরু করেছে বিভিন্ন ট্রেন। যদিও পূর্বের শিডিউল মোতাবেক কোনও ট্রেন দাঁড়াচ্ছে না কুমেদপুর জংশনে। এই পরিস্থিতিতে স্টপেজের দাবিতে প্রায় এক মাস আগে টানা ধর্নায় শামিল হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। সে সময় রেল কর্তৃপক্ষের তরফে গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এক মাস পার হলেও দাবি পূরণ হয়নি। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার থেকে ফের স্টেশন ম্যানেজারের ঘরের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্নায় বসলেন গ্রামবাসীরা। একইসঙ্গে এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে গণস্বাক্ষর সম্বলিত দাবিপত্র পাঠানো হল প্রধানমন্ত্রী এবং রেলমন্ত্রীরকে।

গ্রামবাসীদের বক্তব্য, কুমেদপুর জংশন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। করোনা পরিস্থিতির আগে এই জংশনে সাতটি এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ ছিল। এছাড়াও একাধিক প্যাসেঞ্জার ট্রেনেরও স্টপেজ ছিল। তবে, করোনা আবহে সমস্ত স্টপেজ তুলে নেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে সদলিচক অঞ্চল বিকাশ সমিতির সম্পাদক রফিকুল আলম জানান, হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষেরা এই জংশনের ওপর নির্ভরশীল। মালদা কিংবা শিলিগুড়ি যেতে একমাত্র ভরসা কুমেদপুর জংশন। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই জংশনে কোনও স্টপেজ নেই। কী উদ্দেশ্যে কুমেদপুর জংশনকে বঞ্চিত করা হচ্ছে তা বোধগম্য হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, আর কোনও মিথ্যে প্রতিশ্রুতি নয়। যতক্ষণ না প্রাপ্য ট্রেনগুলির স্টপেজ মিলবে ততক্ষণ ধর্না চলবে। গোটা বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপিও। এনিয়ে এনএফ রেল কর্তৃপক্ষের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Previous articleJagadhatri Puja: মহানবমীতে দর্শনার্থীদের ভিড় চন্দননগরে
Next articleপ্রয়াত ক্রীড়া সাংবাদিক পার্থ রুদ্র