BSF: সীমান্ত বিতর্কের মধ্যেই BSF-কে নিয়ে ফুল-মিষ্টির রাজনীতি বিজেপির

(সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে দেশের অভ্যন্তরে ১৫ কিলোমিটারকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার কাজের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক)

 

বাংলা, অসম ও পাঞ্জাবে বিএসএফের (BSF)এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে উত্তাল দেশ। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে দেশের অভ্যন্তরে ১৫ কিলোমিটারকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার কাজের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যা গণতান্ত্রিক দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী বলে দাবি করে তৃণমূল সহ বিরোধীরা। সংবিধানে বলা আছে আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি সম্পূর্ণ সংশ্লিষ্ট রাজ্যের এক্তিয়ার ভুক্ত। সেখানে কেন্দ্র কীভাবে একতরফা এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে? এই মর্মে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যদিও রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

এখানেই শেষ নয়, বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হয়ে যাওয়ার পরও রাজনীতির ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে বিজেপি। দেশপ্রেমের আবেগে সুড়সুড়ি দিয়ে গেরুয়া শিবির এবার রাজ্যের BSF জওয়ানদের ফুল-মিষ্টিতে বরণ করার কর্মসূচি নিয়েছে। যা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

প্রসঙ্গত, বিধানসভায় প্রস্তাব পেশের আগে দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ (Udayan Guha) বিএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন। তাঁর অভিযোগ, সীমান্ত তল্লাশির নামে মহিলাদের হেনস্থা করে বিএসএফ (BSF)। উদয়ন গুহর কথায়, “নিজেদের অন্যায় কেউ স্বীকার করে না। কাঁটাতারের বেড়ার এপার-ওপারের মানুষ জানেন বিএসএফের কী ব্যবহার। এনিয়ে বিতর্ক করে লাভ নেই।”

বঙ্গ বিজেপি নেতাদের দাবি, বিএসএফ সম্পর্কে যারা এমন মন্তব্য করছেন তারা “দেশদ্রোহী”। বিএসএফের পক্ষ থেকেও সাংবাদিক বৈঠক করে এমন মন্তব্যকে “দুর্ভাগ্যজনক” বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। যদিও উদয়ন গুহ তাঁর কথা থেকে সরতে নারাজ। দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “আমি আমার কথা থেকে একটুও সরছি না কারণ আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলেছি।”

এদিকে, বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে সম্মান জানাতে জানে না। বিধানসভা যেন বাংলাদেশ কিংবা কাবুলের পার্লামেন্ট। তাই ভগবান রামচন্দ্র যে ফুল দিয়ে দেবী দুর্গার পুজো করে রাবণ বধ করেছিলেন, সেই পদ্মফুল ও মিষ্টি নিয়ে বিএসএফকে সম্মান জানাবে বিজেপি। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ববিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা সকলে জড়ো হবেন। এবং সেখান থেকে নিউটাউনে BSF ক্যাম্পে যাবেন। গেরুয়া শিবিরের এমন কর্মসূচির মধ্যেই স্পষ্ট, বিএসএফ-কে সম্মান জানানো নয়, বরং তার থেকে অনেক বেশি করে বিষয়টিকে নিয়ে তারা রাজনীতিকরণ করতে চাইছে।

তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা বিএসএফের বিরুদ্ধে নই। আমরা কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে গায়ের জোরে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ভেঙে দিয়ে বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি করতে চাইছে, আমরা সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।’’

Previous articleAsansol:জন্মদিনের পার্টিতে ছোড়া হল চার-চারটি গুলি! গ্রেফতার ২
Next articleVVS Laxman: জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির দায়িত্ব নেওয়ায় বড় আত্মত্যাগ করতে হয়েছে লক্ষণকে, বললেন সৌরভ