ফের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) লঙ্ঘন করে এবার অরুণাচল প্রদেশে ঢুকে পড়ল লাল ফৌজ। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অরুণাচলের শি ইয়োমি জেলায় এলএসি-র প্রায় ছ’কিলোমিটার ঢুকে একটি গ্রাম বানিয়েছেন চিনা সেনা। খবরের পরিপ্রেক্ষতে উপগ্রহ চিত্রও প্রকাশ করেছে ওই সংবাদমাধ্যম । ওই ছবিতে দেখা গিয়েছে পরপর ৬০ টি বাড়ি অরুণাচল সীমান্তের গা ঘেঁষে তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন:Farm Law:তৃণমূলের নেতৃত্বে বিরোধীদের প্রবল চাপ পড়ে পিছু হটলেন মোদি, তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার
সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত ওই উপগ্রহ চিত্রটি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তোলা বলে দাবি। সেই সঙ্গে ২০১৯ সালের মার্চে তোলা ঠিক একই এলাকার একটি উপগ্রহ ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।সেটিতে জনবসতির কোনও চিহ্ন নেই। কিন্তু দু’মাস আগে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে বাড়ির সারি। নতুন ছবিতে আরও দেখা যাচ্ছে যে একগুচ্ছ বিল্ডিং বাদে রয়েছে এমন একটি বাড়ি, যার ছাদে বড় করে আঁকা রয়েছে চিনের পতাকা। স্যাটেলাইটে তোলা ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সেই পতাকার ছবি।
অরুণাচল সরকার বা সেনার তরফে এখনও লাল ফৌজের জমি জবরদখলের বিষয়টি নিয়ে কোনও স্বীকারাক্তি করা হয়নি। তবে সেনা জানিয়েছে, চিনা গ্রাম তৈরি হওয়ার খবর সঠিক নয়। তারা স্বীকার করেছেন যে এরকম একটি গ্রাম রয়েছে, তবে তা চিনের ভূখণ্ডের মধ্যে বলেই দাবি। বিষয়টি খতিয়ে দেখারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত,বুধবারই একটি সংবাদমাধ্যমে চিনা সেনার বিরুদ্ধে ডোকলামের কাছে ভুটানের ভূখণ্ড জবরদখল করে গ্রাম তৈরির অভিযোগ তোলা হয়েছে।এর আগে চলতি বছরের গোড়ায় ওই টিভি চ্যানেলেই অরুণাচলের উত্তর সুবনসিরি জেলায় ভারতীয় ভূখণ্ডের চার কিলোমিটার অন্দরে ঢুকে তাসরি চু নদীর তীরে বানানো চিনা সেনার গ্রাম বানানোর উপগ্রহ ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে ধরা পড়েছিল ১০১টি বাড়ির অস্তিত্ব।এইনিয়ে লোকসভায় চিনা জবরদখলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন অরুণাচলের বিজেপি সাংসদ। পরপর এই উপগ্রহ চিত্র স্বভাবতই অস্বস্তিতে ফেলেছে কেন্দ্রকে।