চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত সংশোধিত তিনটি কৃষি আইনই প্রত্যাহার করল কেন্দ্রীয় সরকার৷ সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগেই শুক্রবার গুরুনানকের জন্মদিনে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নরেন্দ্র মোদির স্বীকারোক্তি, কৃষকদের বোঝানোর ক্ষেত্রে সম্ভবত সরকারেরই কোনও ব্যর্থতা ছিল৷

আরও পড়ুন:Weather Forecast:ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! সপ্তাহান্তে বৃষ্টির পূর্বাভাস
শুক্রবার জাতীর উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন তিনি। ফলে গুরুনানকের জন্মদিনে বিরাট জয়ের মুখ দেখেন কৃষকরা। গত প্রায় এক বছর ধরে ওই আইন নিয়ে আন্দোলন করছিলেন কৃষকরা।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, যে কৃষি আইন বলবৎ করা নিয়ে তাঁরা অনড় ছিলেন, তাঁরা সেই অবস্থান থেকে সরে এলেন। সেই সঙ্গে মোদি বলেন, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য সৎ ছিল। কিন্তু কৃষি আইনের সুফলের কথা কিছু কৃষককে আমরা বোঝাতে পারিনি।’আন্দোলনের পথ ছেড়ে কৃষকদের আবার চাষের ক্ষেতে ফিরতেও আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন “গুরুনানকের জন্মতিথিতে আসুন, সব আবার নতুন করে শুরু করা যাক।”
প্রসঙ্গত, গত বছরের সেপ্টেম্বরে তিনটি কৃষি বিল সংশোধন করে তা আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই দিল্লি, পাঞ্জাব,হরিয়ানা ও রাজস্তানে এই তিন আইনের প্রতিবাদে তুমুল প্রতিবাদ থেকে শুরু করে বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। এমনকি দিনের পর পর দিন সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় একাধিক কৃষক সংগঠন। রাস্তা অবরোধ, রেল রোকো-আন্দোলনের মাধ্যমে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিবাদ জানায় কৃষক সংগঠনগুলি। প্রথম থেকেই তাদের দাবি ছিল, এই তিন কৃষি আইনে কৃষকরা লাভবান হবেন না। কৃষক সংগঠনের পাশে দাঁড়ায় তৃণমূল ও কংগ্রেস সরকার।
