Monday, November 17, 2025

Sukhendusekhar Roy: মোদি যুগের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে,প্রতিক্রিয়া সাংসদ সুখেন্দুশেখরের

Date:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার সকালে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন। এরই প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, মোদি যুগের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে৷
আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে সংসদে অধিবেশন শুরু হলেই আইন প্রত্যাহারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া সরকার শুরু করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ কৃষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধও করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷

আরও পড়ুন- Attack in Bihar Court : আদালতে শুনানি চলাকালীন বিচারপতির দিকে বন্দুক তুললেন  দুই পুলিশকর্মী
তৃণমূল মুখপাত্র তথা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত থেকেই স্পষ্ট মোদি যুগের শেষের শুরু৷ ফেব্রুয়ারি মাসে যে রাজ্যগুলিতে নির্বাচন আছে, সেখানে নিজেদের হার নিশ্চিত বুঝতে পেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷’

আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: এই জয় আপনাদের, কৃষি আইন প্রত্যাহার প্রসঙ্গে কৃষক সমাজকে অভিনন্দন মমতার

তিনি বলেন, যখন ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সংসদে এই তিনটি দানবীয় বিল নিয়ে আসা হয়, তখন তৃণমূল কংগ্রেস সংসদের উভয় কক্ষে প্রস্তাব আনে যে বিলগুলি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হোক, যাতে বৃহত্তর কৃষক সমাজ বিলগুলি নিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করতে পারেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, সমস্ত বিরোধী পক্ষ এই বিষয়ে তাদের প্রস্তাব পাস করার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও গায়ের জোরেই বিলগুলিকে পাস করার চেষ্টা করা হয়। তখন আমাদের দলের পক্ষ থেকে বিশেষত রাজ্যসভায় আমাদের দলনেতা ডেরেক ওব্রায়েন যখন প্রতিবাদ করেন, তখন তাকে চ্যাংদোলা করে মার্শালরা হাউসের বাইরে পাঠিয়ে দেয়। আমাদের অন্যান্য সাংসদ দোলা সেন এবং অন্যান্যদেরকেও বের করে দেওয়া হয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল যারা এর প্রতিবাদ করে তাদেরও আমল দেওয়া হয়নি।
কিন্তু এরপরই ৩৫ টি কৃষক সংগঠন এই বিলের প্রতিবাদে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন শুরু করেন।শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা উপেক্ষা করে তাদের পরিবারদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করা গিয়েছেন। তাদের নেতা রাকেশ টিকায়াত আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম এই বিলের প্রতিবাদে সরব হন।কলকাতাতে সুবিশাল মিছিল বের করা হয়।অন্যান্য জেলাতেও এর বিরুদ্ধে মিছিল আন্দোলন করা হয়।এর প্রতিক্রিয়া সারা দেশেই পরে।কিন্তু এই সরকার অনড় মনোভাব দেখায়।অতি সম্প্রতি লখিমপুর খেরিতে যে নারকীয় হত্যাকান্ড হয়েছে,নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়েছে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পুত্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বহাল তবিয়তে পদে রয়েছেন।তার পুত্রের বিরুদ্ধে প্রথমে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পরে প্রবল চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।যদিও তদন্তে গতি আনতে আদালতকে নির্দেশ দিতে হয়।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদের আরও দাবি, শুধু কৃষি আইন প্রত্যাহার করলেই হবে না৷ বরং কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে প্রায় ৭০০ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে৷

Related articles

ঝাড়খণ্ডের দুমকায় বিধবাকে পুড়িয়ে খুন! প্রেমিক গ্রেফতার, পলাতক স্ত্রী

ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড! শিকারিপাড়া থানা এলাকার সীতাশাল গ্রামে তিন বছরের সম্পর্কে থাকার পর ২১ বছরের বিধবা...

অসাংবিধানিক মন্তব্য! রাজ্যপালকে ধুয়ে দিলেন কল্যাণ, দিলেন পাল্টা চ্যালেঞ্জ

চূড়ান্ত অসাংবিধানিক এবং কুরুচিকর মন্তব্য বিজেপির ‘দলদাস’ রাজ্যপাল বোসের! একজন রাজ্যপাল কীভাবে এমন কুরুচিকর মন্তব্য করতে পারেন? শ্রীরামপুরের...

ডিসেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে শিক্ষক নিয়োগ, মঙ্গলবার শুরু এসএসসির ইন্টারভিউ 

স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে প্রায় ২০ হাজার নামের প্রার্থী তালিকা। আগামীকাল, ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু...

অবাস্তব কাজের চাপ: বাংলার পর কেরল, আত্মঘাতী BLO, কাঠগড়ায় কমিশন

দেশের ১২ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এক অবাস্তব পদ্ধতিতে এসআইআর প্রক্রিয়া চালু করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন (Election...
Exit mobile version