ত্রিপুরার(Tripura) মাটিতে ফের একবার বিজেপির(BJP) ন্যাক্কারজনক হামলার শিকার হলো তৃণমূল(TMC)। এবার তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম, বাবুল সুপ্রিয় ও কুণাল ঘোষের উপস্থিতিতে আগরতলার ইন্দ্রনগরে তৃণমূলের সভা মঞ্চ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। পাশাপাশি তৃণমূল প্রার্থীকে মারধর ও ভাঙচুর করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী একাধিক বাড়ি। বিজেপির গুন্ডাবাহিনী হাতে আক্রান্ত হয়েছেন তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা। এই হামলা চলাকালীন ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও, তারা নির্বাক দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ।

জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় আগরতলার ইন্দ্রনগরে সভা ছিল তৃণমূলের। শুরু থেকেই এই সভা বানচাল করার পরিকল্পনা শুরু করে বিজেপি। তৃণমূল নেতৃত্ব মঞ্চে উপস্থিত হতেই মঞ্চের পাশে ভ্যান লাগিয়ে উচ্চস্বরে ডিজে বাজানো হয়। এরপর মঞ্চের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। এই অবস্থাতেই বাবুল সুপ্রিয় মঞ্চে উপস্থিত হলে রীতিমতো হল্লা শুরু করে বিজেপি বাহিনী। উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির আঁচ পেয়ে বাবুল সুপ্রিয় পুলিশকে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য অনুরোধ করেন। যদিও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং বিজেপি সমর্থকরা পুলিশকে ঘটনাস্থল থেকে সরে যেতে বলে। এরপরই সভামঞ্চে ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশের অনুমতি ও নিরাপত্তা থাকা সত্বেও কিভাবে বিজেপি গুন্ডাবাহিনী এভাবে হামলা চালায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে উঠছে। প্রশ্ন উঠছে ত্রিপুরার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। বিজেপির এই হামলায় একাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এই ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে কুণাল বলেন, “আমরা মারামারি করতে আসিনি। মানুষ দেখলেন কী অসভ্যতা হল। বিজেপি সুপ্রিম কোর্টের রায়কে অমান্য করে হামলা করছে। আমরা জনগণের আদালতে বিচার চাইছি।”

