সূত্রের খবর, সঙ্কটকালে মানুষের পাশে থাকা তরুণ তুর্কিদের প্রার্থী করতে চাইছে আলিমুদ্দিন।
বিধানসভা নির্বাচনে নতুন মুখ নিয়ে এসেও হালে পানি পায়নি বামেরা (Leftfront)। 34 বছর বাংলায় ক্ষমতায় থাকার পরে, 10 বছরের মধ্যে বিধায়ক সংখ্যা নেমে গিয়েছে শূন্যে। তবুও হাল ছাড়তে রাজি নয় আলিমুদ্দিন। সব ঠিক থাকলে, আর কয়েক দিনের মধ্যেই কলকাতা ও পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। এই পরিস্থিতিতে এবার ‘রেড ভলেন্টিয়ার’দের ভোটের ময়দানে নামাতে পারে সিপিআইএম।
গতবছর করোনা সংক্রমণ শুরুর পরেই সিপিআইএমের ছাত্র ও যুব সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’ (Red Volunteers) বাহিনী গড়ে তোলে। কোভিডকালে (Covid) সমাজের সর্বস্তরের মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল রেড ভলান্টিয়ার্স। লকডাউনে (Lockdown) খাবার পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছানো, অক্সিজেন, ওষুধ পৌঁছে দেওয়া- সব দিক দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। এমনকী, ‘হোম আইসোলেশন’-এ থাকা রোগীদের কাছেও এই ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’-রাই পৌঁছে গিয়েছিলেন। এ বার পুরভোটে তাই কয়েকজন ‘রেড ভলান্টিয়ারকেই প্রার্থী করতে চাইছে সিপিআইএম।
কলকাতা জেলা কমিটির অধীন ৪০টি এরিয়া কমিটির মধ্যে প্রায় ১০০০-১২০০ ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’ কাজ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে থেকেই কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রার্থী বাছাই করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এক্ষেত্রে এখনও CPIM-র সদস্য নন, তাঁরাও প্রার্থী হতে পারেন। সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, সাধারণত পুরসভার নির্বাচনে স্থানীয় প্রার্থীর উপর জোর দেওয়া হয়। এ বারও তেমনটা হবে বলে আশা তার। এক্ষেত্রে স্থানীয় স্তরের দলের হয়ে যাঁরা ভালো কাজ করছেন, তাঁদের সাধারণত গুরুত্ব দেওয়া হবে। এই মন্তব্যেই রেড ভলেন্টিয়ার্স প্রার্থী করার জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে।