তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ অক্ষুন্ন রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, মালা রায়ের প্রশ্নে জবাব কেন্দ্রের

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর মাসে দেশের একাধিক তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে কয়লার চরম(Coal crisis) সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছিল যে, বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়েছিল। কয়েকটিতে আংশিক উৎপাদন চালু ছিল। এই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায়(Mala Roy) কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রীর কাছে জানতে চান বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে উৎপাদন বজায় রাখার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কী পরিমাণ কয়লা মজুত রাখা হয়? সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর এই দু’মাসে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে প্রতিদিন গড়ে কী পরিমাণ কয়লা মজুত ছিল? কয়লার মজুত না থাকায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি যে সমস্যায় পড়েছিল তা নিরসন করতে কেন্দ্র কী ব্যবস্থা নিয়েছে?

সাংসদের ওই প্রশ্নের উত্তরে কয়লা ও শক্তি দফতরের মন্ত্রী আরকে সিং বলেন, চলতি বছরের ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ১৩৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ১৮.৯৫৮ মিলিয়ন টন কয়লা মজুত ছিল। ওই মজুত কয়লায় কমপক্ষে ৯.৫ দিন চলতে পারবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে যথাক্রমে প্রতিদিন ১০.৩৪ এবং ৮.০৭ মেট্রিক টন কয়লা মজুত ছিল। মন্ত্রী আরও জানান, বিভিন্ন তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে যাতে পর্যাপ্ত কয়লা মজুত থাকে এবং সময় থাকতেই সরবরাহ করা যায় তা নিশ্চিত করতে একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিতে আছেন কয়লা ও বিদ্যুৎ মন্ত্রকের সচিব, আছেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের মত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। ওই কমিটি বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত কয়লা মজুত আছে কিনা তা দেখবে এবং যথাসময়ে কয়লা সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

আরও পড়ুন:৫ বছর কেরোসিনে লাগাতার ভর্তুকি কমেছে, বেড়েছে গ্যাসের খরচ, জানাল কেন্দ্র

পাশাপাশি কয়লা মন্ত্রকও একটি কোর ম্যানেজমেন্ট টিম গঠন করেছে। ওই কমিটিতে এনটিপিসি, ডিভিসি-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা আছেন। ওই কমিটি বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে কী পরিমাণ কয়লা প্রয়োজন আছে, সেখানে কত মজুত আছে কবে নাগাদ সরবরাহ করতে হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। মন্ত্রী আরও জানান, সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি তার সুপারিশে জানিয়েছে পীট হেড স্টেশনগুলিতে কমপক্ষে ১৭ এবং নন পিট হেড স্টেশনগুলিতে কমপক্ষে ২৬ দিনের কয়লা বাধ্যতামূলকভাবে মজুত রাখতে হবে। ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত এই হিসেবেই কয়লা মজুত রাখতে হবে।

 

Previous articleতৃণমূল প্রার্থীদের নিয়ে শনিবার মহারাষ্ট্র নিবাসে  বৈঠক শীর্ষ নেতৃত্বের
Next articleবিজেপি কাউন্সিলর তিস্তাকে খুন করা হয়েছে! রূপার মন্তব্যে তোলপাড় গেরুয়া শিবির