৫ বছর কেরোসিনে লাগাতার ভর্তুকি কমেছে, বেড়েছে গ্যাসের খরচ, জানাল কেন্দ্র

২০২০ সাল থেকে দেশের গরিব মানুষের জন্য ভর্তুকিযুক্ত কেরোসিন তেল বন্ধ করেছে ভারত সরকার

২০২০ সাল থেকে দেশের গরিব মানুষের জন্য ভর্তুকিযুক্ত কেরোসিন তেল বন্ধ করেছে ভারত সরকার। তার আগে দফায় দফায় কমানো হয়েছে ভর্তুকি। শেষ পাঁচ বছরে কেরোসিন এবং রান্নার গ্যাসের উপরে কেন্দ্র কী পরিমাণ ভর্তুকি দিয়েছে? ভর্তুকির পরিমাণ কি বাড়ানো বা কমানো হয়েছে? যদি হয়ে থাকে তবে সেটা কেন? এই ৫ বছরে দেশে কেরোসিন এবং রান্নার গ্যাস ব্যবহারে কি কোনও তারতম্য ঘটেছে? সংসদে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের কাছে তথ্যসহ ৫ বছরে এলপিজি(LPG) ও কেরোসিনে(Kerosene) সরকারের ভর্তুকির হিসেব চাইলেন তৃণমূল(TMC) সাংসদ দীপক অধিকারী(দেব)(Dipak Adhikari)। তার উত্তরে সরকারের তরফ সে হিসেবে দেওয়া হল সেখানে দেখা গেছে ২০১৬ সাল থেকে দফায় দফায় কেরোসিনের ভর্তুকি কমিয়ে দিয়েছে সরকার। অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে সাধারণ মানুষের রান্নার গ্যাসের খরচ।

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের প্রশ্নের উত্তরে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তিলি জানান, ২০১৬-১৭ সালে রেশনের মাধ্যমে বিতরণ করা কেরোসিনে ৭৫৯৫ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। ২০১৭-১৮ সালে এই ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ৪৬৭২ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ সালে ভর্তুকির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৫৯৫০ ও ১৮৩৩ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় কতজন বিনামূল্যে গ্যাস পেয়েছেন? জানাল কেন্দ্র

অন্যদিকে রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রে ২০১৬-১৭ সালে সরাসরি গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ভর্তুকি বাবদ সরাসরি দেওয়া হয়েছে ১২৯০৫ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ সালে এই ভর্তুকির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২০৯০৫ এবং ৩১৫৩৯ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ সালে এই ভর্তুকির অংক ছিল যথাক্রমে ২২৭২৬ এবং ৩৬৫৮ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় ২০১৬-১৭ সালে ২৯৯৯ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ সালে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ২৫৫৯ এবং ৫৬৭০ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ সালে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ১৪৪৬ এবং ৭৬ কোটি টাকা। ২০২০-২১ সালে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় ভর্তুকি বাবদ খরচ করা হয়েছে ৮১৬২ কোটি টাকা।

পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ২০১৬-১৭ সালে গোটা দেশে ৫৩৯৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন কেরোসিন ব্যবহার হয়েছে। ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ সালে কেরোসিন বছর হয়েছে যথাক্রমে ৩৮৪৫ ও ৩৪৫৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন। পরবর্তী দুই বছরে অর্থাৎ ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ সালে কেরোসিন ব্যবহার হয়েছে যথাক্রমে ২৩৯৭ এবং ১৭৯৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন। অন্যদিকে ২০১৬-১৭ সালে দেশে ২১৬০৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ সালে গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে যথাক্রমে ২৩৩৪২ ও ২৪৯০৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন। ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ সালে গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে যথাক্রমে ২৬৩৩০ ও ২৭৫৫৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন। এই পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, শেষ পাঁচ বছরে দেশে কেরোসিনের ব্যবহার ক্রমশ কমেছে। অন্যদিকে বেড়েছে রান্নার গ্যাসের ব্যবহার।

 

Previous articleHoogli: নর্দমার জমা জলে ডেঙ্গি আতঙ্ক কানাইপুরে, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস পঞ্চায়েত প্রধানের
Next articleKolkata Police: সঙ্কটজনক বাসযাত্রীকে দ্রুত অক্সিজেন দিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন ওসি সৌভিক, কৃতজ্ঞ রোগীর পরিবার