ভোটারদের ঘুষ দিয়ে প্রভাবিত করার অভিযোগ! বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে দায়ের মামলা, কমিশনে বিরোধীরা

শুক্রবার দেশের ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮৮ আসনে ভোটগ্রহণ (Voting)। এদিন সকাল থেকেই তীব্র দাবদাহকে উপেক্ষা করেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে ভোটাভুটি। আর এমন আবহে ফের মুখ পুড়ল বিজেপির (BJP)। লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) দ্বিতীয় দফার ভোট যে সব কেন্দ্রে হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম কর্নাটকের (Karnataka) চিকবল্লাপুর (Chikkaballapur)। সেখানকার বিজেপি প্রার্থী কে সুধাকরের বিরুদ্ধে ভোটারদের ঘুষ দিয়ে অনৈতিকভাবে প্রভাবিত করার মতো বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এসেছে। এদিকে ভোটাভুটি চলার মধ্যেই বিরোধীদের লাগাতার চাপে বাধ্য হয়ে এদিন চিকবল্লাপুরের বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে গত ১৬ মার্চ থেকে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়ার পর বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ১৭ কোটি টাকা আয়কর দফতর বাজেয়াপ্ত করেছে বলে খবর।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই কর্নাটকের ইয়েলেহাঙ্কার একটি বাড়ি থেকে ৪.৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচন কমিশনের একটি টিম। এরপরই গৃহকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বিজেপি প্রার্থী কে সুধাকরের নাম উঠে আসে বলে খবর। এদিকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আয়কর দফতরের কর্তারা পাঁচশো টাকার প্রচুর বান্ডিল উদ্ধার করে বলে খবর। এরপরই সুধাকরের বিরুদ্ধে ভোটারদের ঘুষ দিয়ে তাঁদের অনৈতিকভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগ সামনে আসে। কর্নাটকের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, সুধাকরের নামে স্থানীয় এক থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক আইনের ধারার পাশাপাশি ঘুষ ও অনৈতিকভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধারায় বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। যাতে নির্বাচন পর্ব চলাকালীন গেরুয়া শিবিরে যে বড়সড় এক ধাক্কা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

২০১৯ সালে কর্নাটকের এই  চিকবল্লারপুর আসনটি কংগ্রেসের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। সেখানেই এবার গেরুয়া শিবির প্রার্থী করেছে কে সুধাকরকে। তবে এমন অভিযোগ সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, মোদি যেখানে লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে বিরোধীদের নিশানা করছেন সেখানে নিজের দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কাছে বিরোধীদের অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে যেন কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এই আসনটিতে কে সুধাকরের প্রতিপক্ষরা কংগ্রেসের রক্ষা রামাইয়া ও সিপিআইএমের এমপি মুনিভেঙ্কটাপ্পা। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৪ অবধি কর্নাটকের এই আসনটি ছিল কংগ্রেসের দখলে। তবে ২০১৯ সালে কর্নাটকের এই  চিকবল্লারপুর আসনটি কংগ্রেসের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি।

Previous articleপ্রধানমন্ত্রীর চাকরি বাতিল বক্তব্যের খসড়া কীভাবে? বিজেপিকে ধুয়ে দিলেন কুণাল
Next articleভোটের মাঝে সন্দেশখালি ইস্যু জিইয়ে রাখতেই পরিকল্পিত চিত্রনাট্য! বিজেপির চক্রান্ত দেখছেন কুণাল