এবারের কলকাতা বইমেলায় আদৌ ঢুকতে পারবে খুদেরা

এবারের কলকাতা বইমেলা হবে ঠিকই, কিন্তু খুদেদের জন্য এখনও নেওয়া হয়নি সিদ্ধান্ত।

এবারের কলকাতা বইমেলা হবে ঠিকই, কিন্তু খুদেদের জন্য এখনও নেওয়া হয়নি সিদ্ধান্ত। করোনা আবহ এবং ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের আতঙ্কে ছোটদের বইমেলায় প্রবেশের সম্ভাবনা ক্রমেই কমছে।

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, আগামী ৩১ জানুয়ারি শুরু হবে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এবারের বইমেলায় স্রেফ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রবেশে অনুমতি দেওয়ার পক্ষে জোরালো সওয়াল করছেন স্বাস্থ্যদপ্তরের বিশেষজ্ঞরা।

এবারের বইমেলায় প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার প্রসঙ্গ এসেছে। ২০২০ সালে শেষবারের মতো বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই মেলার ভিডিও ও ছবি খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, সল্টলেকে সেন্ট্রাল পার্কে মেলার মাঠে দুধের শিশুদেরও প্যারাম্বুলেটরে চাপিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিভাবকরা।
নবান্নে , এই মুহূর্তে রাজ্য জুড়ে প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক স্তরের স্কুল বন্ধ রয়েছে। মূলত করোনা সংক্রমণ থেকে শিশুদের আড়াল করতেই স্বাস্থ্যভবনের সুপারিশ মেনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে এখন করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও নয়া ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট কতটা ঘাতক হবে, তা নিশ্চিত করতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা।
বইমেলায় প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ ভিড় করেন। এক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদের একটা বড় অংশের টিকাকরণ হয়ে গেলেও বাচ্চারা অসুরক্ষিত। আগামী দেড়-দু’মাসে সংশ্লিষ্ট বাচ্চাদের টিকাকরণ কার্যত অসম্ভব। তাই আমরা চাইছি, এবারের বইমেলায় শিশু-কিশোরদের বাদ দিয়েই আসুন বইপ্রেমীরা।
এ বিষয়ে বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু দে বলেন, বাচ্চারা এবারের মেলায় আসতে পারবে কি না, এখনও আমরা নিশ্চিত নই। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে শিশুদের জন্য দরজা বন্ধ হলে মেলার জৌলুস কমবে বলেই মনে করেন বই বিক্রেতাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, বইমেলায় স্রেফ শিশু-কিশোরদের জন্য ‘চিলড্রেনস প্যাভিলিয়ন’ তৈরি করা হয়। সেখানে হাজারো বইয়ের সম্ভার সাজানো থাকে। পাশাপাশি অসংখ্য শিশু সাহিত্য প্রকাশনা সংস্থা শুধুমাত্র ছোটদের জন্য বই বাজারে আনে। সব মিলিয়ে ব্যবসার ভালোই ক্ষতি হবে। একইসঙ্গে বাচ্চাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হলে বহু অভিভাবক বইমেলায় পা দেবেন না বলেও আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তবে আশার কথা, বইমেলা শুরু হতে এখনও কিছুটা সময় রয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে ফের চেনা ছন্দে ফিরতে পারে কলকাতা বইমেলা। সেখানে সব বয়সের বইপ্রেমীদের আপ্যায়নে তৈরি থাকবে প্রশাসন ও আয়োজকরা।

 

Previous articleR Ashwin: ভারত-নিউজল‍্যান্ড ম‍্যাচে অনন্য নজির গড়লেন অশ্বিন
Next articlePriyanka Sarkar: আমি ভাল আছি: হাসপাতাল থেকে অনুরাগীদের খোলা চিঠি প্রিয়াঙ্কার