দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে কার্যত হুঁশিয়ারির সুর শোনা গেল নরেন্দ্র মোদির গলায়। সংসদ অধিবেশনে অনুপস্থিত বা অনিয়মিত বিজেপি সাংসদদের চরম সতর্কবাণী দিয়ে মোদি বলেন, “নিজেদের বদলে ফেলুন, নইলে সবকিছু বদলে যাবে।”

এর আগেও দলীয় সাংসদদের অনুশাসন ও নিয়ম মেনে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মোদি। আলটপকা মন্তব্য থেকেও বিরত থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। বেশ কিছু দলীয় সাংসদদের আচরণে তিনি যে বিরক্ত, মোদির কথা থেকেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়।
তিনি বলেন, দয়া করে সংসদে ও বৈঠকগুলিতে উপস্থিত থাকুন। বারবার শিশুদের মতো আপনাদেরকে বোঝানোর চাপ নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। শিশুদেরও এতবার বোঝাতে হয়না। যদি আপনার নিজেদের আচরণ পরিবর্তন না করেন, তবে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে যাবে।

সাংসদদের উদ্দেশে মোদির পরামর্শ, সূর্য নমস্কার করে উপস্থিতি নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় নামুন। এতে আপনারা সকলে সুস্থ থাকবেন।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী সহ সিনিয়র মন্ত্রীরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানিয়েছেন, প্রত্যেক সাংসদকে নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ১৪ তারিখ নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারণসী জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন নরেন্দ্র মোদি।

সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর পর থেকেই ১২ বিরোধী সাংসদের সাসপেনশন নিয়ে প্রত্যেক দিন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে সংসদের কাজ। তারমধ্যেই নাগাল্যান্ডের মন জেলায় সেনার গুলিতে ১৪ জন গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে চাপের মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রের শাসকদল। এই পরিস্থিতি পর্যাপ্ত পরিমাণে শাসক দলের সাংসদ উপস্থিত না থাকলে বিরোধীদের মোকাবিলা করতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে সরকার পক্ষকে।

বাদল অধিবেশনের বিশৃঙ্খলার কারণে শীতকালীন অধিবেশন শুরুতেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় ১২ রাজ্যসভা সাংসদকে। এই নিয়ে প্রতিদিনই সংসদের কাজে বাধা দিচ্ছে বিরোধীরা। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানিয়েছেন, নিজেদের কৃতকর্মের জন্য তারা যদি ক্ষমা চান তবেই তাদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হবে। সাংসদদের দাবি, সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক।
