Thursday, May 8, 2025

KMC 31: উন্নয়ননের শেষ নেই, বিধায়ক-কাউন্সিলরের পার্থক্য নেই: পরেশ পাল

Date:

আসন্ন কলকাতা পুরভাটে (KMC Election) শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ৬ জন বিধায়ককে (MLA) নির্বাচনে লড়ার টিকিট দিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম বেলেঘাটার দাপুটে বিধায়ক পরেশ পাল (Paresh Paul)। লড়াকু এই নেতা এবার তৃণমূলের প্রতীকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই নজরকাড়া প্রার্থীদের মধ্যেই রয়েছেন পরেশ পাল। এবার তিনি যে ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছেন সেখানে প্রবল তৃণমূল ঝড়ের মধ্যেও একুশের বিধানসভা ভোটে এগিয়ে ছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি (BJP)। ফলে বহু যুদ্ধের নায়ক পোড় খাওয়া পরেশবাবুর সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ।

যদিও পরেশ পাল মনে করছেন, বিধানভোটে মানুষ বিভ্রান্ত ছিল। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকে ভুল বুঝে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু পরের ৬ মাসে সেই পরিস্থিতি একেবারে বদলে গিয়েছে। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ বুঝতে পেরেছেন, রাজ্যের উন্নয়নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প কেউ নেই। তাই এবার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই থাকবেন। উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূল প্রার্থীকেই আশীর্বাদ করবেন।

বিধায়ক হয়েও কাউন্সিলর ভোটে লড়ছেন। পরেশ পালের বক্তব্য, মানুষকে পরিষেবা দেওয়াটাই বড় কথা। একজন বিধায়ক হয়ে নিজের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি কাউন্সিলর হয়ে রাস্তায় নেমে কাজ করলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আর তিনি নিজেকে লো-প্রোফাইল রেখেই মানুষের জন্য কাজ করতে অভ্যস্ত।

বাম আমলে ১৯৮৫ সাল থেকে ভোটে লড়ছেন পরেশ পরেশ পাল। ফলে সংসদীয় রাজনীতি তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা। নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝেছেন, এবার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলই জিতবে। প্রার্থী যেই হোন, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট দেবেন।

কখনও বিধায়ক, কখনও কাউন্সিলর, দীর্ঘদিন নির্বাচিত জন প্রতিনিধি হয়ে মানুষের জন্য কাজ করছেন। নিজের অনুভূতি ইয়ে পরেশ পাল বলেন, “আমি সবসময় অন্যরকম।

মাটিতে পা রেখে সবাইকে নিয়ে চলতে ভালবাসি। নিজেকে কোনওদিন আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা ভাবিনি। কাজ আর উন্নয়নের কোনও সীমারেখা নেই। আমি একটা সময় অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছি। ডেড বডি গাড়িতে করে পৌঁছে দিয়েছি শ্মশানে। অটো চালিয়েছি। যে সমস্যা চোখে পড়বে, দ্রুত তার সমাধানের চেষ্টা করব। আমি তো কোনও কোম্পানির বিজনেস করছি না যে টার্গেট বেঁধে কাজ করতে হবে।”

৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হলে কোন কাজটিকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেবেন? পরেশ পাল জানালেন, কলকাতার অন্য অনেক জায়গায় মতো এই ওয়ার্ডে অল্প বৃষ্টিতে ‌জল জমার একটু সমস্যা রয়েছে, তার সমাধান আগে করার চেষ্টা করবেন।

আরও পড়ুন- Chief Minister: চিপ কথা বলবেন না: প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বিধায়ককে কড়া ধমক মুখ্যমন্ত্রীর

Related articles

রিপোর্টে ‘জল মেশান’ বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব! তীব্র কটাক্ষ বনসলের, বৈঠকে ডাক না পেলেও ইডেনে দিলীপ 

বাংলার রিপোর্ট দেখেছি ঝকঝকে হয়। আর কোনও রাজ্যের এত ভাল রিপোর্ট নয়। কিন্তু কাজের সময় দেখেছি সাংগঠনিক রিপোর্টে...

বোলিং ব্যর্থতায় ঘরের মাঠেই আশা শেষ নাইট রাইডার্সের

ডেওয়াল্ড ব্রেভিস(Dewald Brevis) এবং শিবম দুবের ইনিংসটাই যেন সব শেষ করে দিল। ৬০ রানে ৫ উইকেট থেকে নাইট...

ইডেনে কেকেআর বনাম সিএসকে ম্যাচ চলাকালীন বোমা মারার হুমকি!

বোমা মেরে ইডেন(Eden) ওড়ানোর হুমকি। কলকাতা নাইট রাইডার্স(KKR) বনাম চেন্নাই সুপার কিংস(CSK) ম্যাচের আগে হঠাত্ই সিএবের(CAB) ইমেল আইডিতে...

যুদ্ধ পরিস্থিতির আবহে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রুখতে সক্রিয় রাজ্য! নবান্নে জরুরি বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর

দেশজুড়ে সম্ভাব্য যুদ্ধ-যুদ্ধ পরিস্থিতির আবহে রাজ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেন নাগালের বাইরে না চলে যায়, তা নিশ্চিত করতে...
Exit mobile version